চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে উপজেলায় দাদা কর্তৃক ৪ বছরের শিশু নাতনিকে ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় রোকেয়া বেগম (৫৯) কে আটক করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। মামলার ১ নং আসামী দাদা মোঃ নুরু মিয়া গাজী ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
গত ৩১ অক্টোবর রাতে মামলার ২ নং আসামী রোকেয়া বেগমকে আটক করেন ফরিদগঞ্জ থানার এসআই নাসির আহমেদ। পরে রোববার দুপুরে তাকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে জানাজায়,ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম চাঁদপুর সাকিনস্থ গ্রামের গাজী বাড়িতে মৃত মোঃ ইসমাইল গাজীর ছেলে মোঃ নূরু মিয়া গাজী (৭৭) তার ছেলের ঘরের ৪ বছরের শিশু নাতনিকে ঘরে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে তাকে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী রোকিয়া বেগম।
এরই প্রেক্ষিতে ১ নভেম্বর রোববার ওই শিশুর মা বাদী হয়ে মোহাম্মদ নূরু মিয়া গাজীকে ১ নং ও তার স্ত্রী রোকিয়া বেগম কে ২নং আসামী করে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং মামলা নং ০১/।
ফরিদগঞ্জ থানার এসআই নাসির আহমেদ জানান গত ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিন দুপুরে নুরুমিয়া গাজী তার চার বছরের নাতনিকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছে বলে এমন অভিযোগ এনে ওই শিশুর মাথা ফরিদগঞ্জে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তারপর একটি মামলা দায়ের করেন তারই প্রেক্ষিতে মামলার ২ নং আসামী রোকেয়া বেগম ধর্ষনের চেষ্টাকালে তার স্বামীকে সহযোগিতা এবং তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় তাকে আটক করা হয়েছে। আজকে তাকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করেছি।
মামলার ১ নং আসামী পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা খুব সহজেই তাকে আটক করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার আসিবুল আহসান চৌধুরীর সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই শিশুকন্যার মেডিকেল রিপোর্ট করা হয়েছে।তার মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের চেষ্টার আলামত পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,১ নভেম্বর ২০২০