ধর্ষক স্বামীকে বাঁচাতেশিশু গৃহকর্মীকে পুড়িয়ে মারলেন নিষ্ঠুর স্ত্রী। রংপুর মহানগরীতে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায, ধর্ষণের শিকার ১২ বছরের অগ্নিদগ্ধ এক শিশু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গৃহকর্তা ওই শিশুকে ধর্ষণ করার পর স্ত্রী তার গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।
ধর্ষিতা ওই শিশু বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। গত শুক্রবার রাতে তাকে ভর্তি করা হয়।
আটক দম্পতি হলেন— মানিক সাহা ও তার স্ত্রী পপি রানী। রংপুরের পাগলাপীর এলাকার শাহী জর্দ্দা ফ্যাক্টরির ম্যানেজার মানিক সাহা। তার বাড়ি মহানগরীর মুলাটোলে।
জানা যায়, গংগাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের জনৈক দিনমজুরের শিশুকন্যা মানিক সাহার বাড়িতে কাজ করে। শুক্রবার সকালে মানিক সাহা ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি তার স্ত্রী পপি রানী সাহা বুঝতে পেরে শিশুটির শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় শিশুকে পাগলাপীরে জর্দ্দা ফ্যাক্টরিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ১১টায় এক মহিলা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শিশুটির বাবা-মা নিষ্ঠুর এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. আজমল হোসেন জানান, শিশুটির পেটে, শরীরে ও হাতে আগুনে পুড়ে গভীর ক্ষত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর কাদের জিলানী জানান, শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও অগ্নিদগ্ধের অভিযোগে মানিক সাহা ও পপিকে আটক করা হয়েছে।
ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার পর ধর্ষণের আলামত পেলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৩:০৯ অপরাহ্ন, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, রোববার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur