শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। ধর্ম নিরপেক্ষতা হলো বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি। এজন্যই আজ আমরা বলতে পারি ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সব রকমের শোষণ, বৈষম্য ও কূপমণ্ডুকতাহীন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। এটাই ছিল তার অপরাধ। তাকে হত্যা করে ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশকে একটি ধর্মান্ধ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু আদর্শের মৃত্যু হয় না। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করা সম্ভব হয়নি।
১৭ আগস্ট সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য খন্দকার ইফতেখার হায়দারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে যুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবি ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ইউজিসি প্রফেসর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য ড. ফখরুল আলম, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু খণ্ডিত সভ্যতা নয়, আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ও সভ্যতার সমন্বয়ে গঠিত একটি বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করতেন। এজন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
কামাল আবদুল নাসের বলেন, উপমহাদেশে যত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সব দাঙ্গার বিরুদ্ধে। পাকিস্তান রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধ করেছিল বঙ্গবন্ধু তার প্রতিবাদ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করতেন। বঙ্গবন্ধু বলতেন আমরা হিন্দু বা মুসলিম যেমন সত্য, তার চেয়ে বড় সত্য হলো আমরা বাঙালি।
ফখরুল আলম বলেন কলকাতা, বিহার ও নোয়াখালীর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভয়াবহতা এবং ভাষা আন্দোলন বঙ্গবন্ধুকে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ,১৭ আগস্ট ২০২০