সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও দ্বিতীয় দিন নৌযান শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালিত হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে ঢাকা থেকে দু’টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসায় বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
চাঁদপুর নদীবন্দর থেকে ঢাকার উদ্যেশ্যে কোনো লঞ্চ ছেড়ে না গেলেও ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে শুক্রবার দুপুর ২টা ও বিকেলে ৫টায় ছেড়ে আসে যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-১ ও ময়ূর-৭
এদিকে ধর্মঘট চলাকালে এ দুটি কিভাবে ছেড়ে আসে, সে সম্পর্কে জানতে চাইলে নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ঢাকা থেকে চাঁদপুরে ফারহান-১ ও ময়ূর-৭ নামক যে দু’টি লঞ্চ ছেড়ে এসেছে তারা ঢাকা সদরঘাট থেকে অন্য স্থানে লঞ্চ রেখে সেখান থেকে যাত্রীদের উঠিয়ে নিয়ে আসে। তার শ্রমিকদের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যাত্রী তুলেছে। এ বিষয়ে আমরা কঠিন পদক্ষেপ নেবো।’
তবে সকাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অধিকাংশ যাত্রীই লঞ্চের অপেক্ষায় প্রহর গুনতে দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে খুলনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলাসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা রাতভর লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করে সেখাই ঘুমিয়ে পড়েছেন অনেক যাত্রী।
সকালে বরিশাল গামী এক বৃদ্ধ যাত্রী চাঁদপুর টাইমস প্রতিবেদককে বলেন, ‘বাবা আমি ফেনী থেকে মেঘনায় রাতে আসি। পরে লঞ্চঘাটে এসে দেখি লঞ্চ চলাচল বন্ধ। কোনো দিক না বুঝে সারারাত এখানেই কাটিয়ে দেই। আমাদের কষ্ট দেখার কি কেউ নেই। তাদের দাবি দাওয়ার জন্য আমাদের এখানে অসহায় হয়ে পড়ে থাকতে হচ্ছে।’
শরীফুল ইসলাম [/author]
আপডেট ১১:১৭ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ