গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গেমসের সমাপনী দিন বালিকাদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে রূপা ১২.৩০ সেকেন্ড সময়ে দৌড় শেষ করে স্বর্ণ জিতে নেন।
বাংলাদেশ যুব গেমসের দ্রুততম বালকের খেতাব জিতেছেন চট্টগ্রাম বিভাগের হাসান মিয়া। আর দ্রুততম বালিকা হয়েছেন রাজশাহীর রূপা খাতুন। অন্যদিকে বালকদের এই ইভেন্টে হাসান ১১.০৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছান।
রুপা ও হাসান দু’জনেই বিকেএসপির শিক্ষার্থী। বালিকা বিভাগে ১২.৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা জিতেছেন রাজশাহীর সনিয়া আক্তার (বিকেএসপি) এবং ১২.৬০ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন চট্টগ্রামের তছলিমা। বালক বিভাগে ১১.৪০ সেকেন্ডে রুপা জিতেছেন চট্টগ্রামের আবদুল মোত্তালেব এবং ১১.৬০ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জ জেতেন ঢাকার নাদিম মোল্লা (বিকেএসপি)।
কৃষক পরিবারের সন্তান হাসান মিয়া অ্যাথলেটিক্স নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখেন। জাতীয় পর্যায়ের সবগুলো রেকর্ড ধীরে ধীরে নিজের করে নিতে চান কুমিল্লার এই তরুন অ্যাথলেট। সর্বশেষ জুনিয়ার চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন হাসান মিয়া। সেবার হ্যান্ডটাইমিং এরচেয়ে ভালো করেছিলেন। এবার কমে যাওয়ার কারন ব্যাখা করতে গিয়ে হাসান মিয়া বলেছেন, ‘অসুস্থতার কারনে টাইমিং কিছুটা বেশি লেগেছে। নয়তো এবারা টাইমিংয়ে আরও উন্নতি করার লক্ষ্য ছিল।
দু’টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে দুটিতেই স্বর্ণ জিতেছেন পাবনার মেয়ে রুপা খাতুন। ২০০ মিটারের স্বর্ণপদকও জিতেছেন দশম শ্রেণির এই ছাত্রী। তবে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের স্বর্ণই বেশি তৃপ্তি দিয়েছে তাকে। কারণ অ্যাথলেটিক্স শুরু করার পর ২০০ মিটারে ভালো করলেও ১০০ মিটারে হেরে যেতেন। যে কারণেই রুপার কণ্ঠে উচ্ছাস, ‘খুবই ভালো লাগছে। এত আয়োজনের মাঝে সেরা হওয়া দারুণ ব্যাপার। তবে আমি জাতীয় পর্যায়ে নয়, বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বর্ণ জিততে চাই।’ কিশোরী এই অ্যাথলেট বলেন, ‘স্কুল পর্যায়ে শীতকালীন-গ্রীস্মকালীন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। সেখান আমার দৌড় দেখে কাফি স্যার আমাকে ২০১৫ সালে বিকেএসপিতে ভর্তি করিয়ে দেন। ১০০ মিটারে এখন যে ভালো করছি সেটা স্যারের কারণেই। উনি আমাকে নিয়ে অনক কাজ করেছেন।’
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:৪৫ পি.এম ১৭মার্চ,২০১৮শনিবার
কে. এইচ.