দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করা সকল মুসলমান নর-নারীর উপর ফরজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর এই অমীয় বাণী যথাযথভাবে পালন করতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাঁদের প্রাণ প্রিয় সন্তানদের কে কুরআনের শিক্ষায় আলোকিত করতে মাদ্রাসায় পাঠান। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৩নং বিতারা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে অবস্থিত এমন ই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দারুল কোরআন হাফেজীয়া মাদ্রাসা।
৬ জন সুদক্ষ শিক্ষক ও শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে মাদ্রাসাটির পাঠদান কার্যক্রম। মাদ্রাসাটির সুযোগ্য সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা দক্ষতার সাথে উক্ত মাদ্রাসার পরিচালনা ও সার্বিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বাংলা, গণিত, ইংরেজি অর্থাৎ আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়ে চলছে মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম। বিভিন্ন অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তাঁরা মাদ্রাসাটির ব্যাপক প্রশংসা করেন।দীর্ঘ সময় ধরে অত্যন্ত গুরুত্ব ও প্রশংসার সাথে এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে চলেছে।
নাজেরা, হিফয, নূরানী, কিতাবখানা বিভাগের দক্ষ শিক্ষক মন্ডলীর মাধ্যমে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে ইতিমধ্যে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। সুন্দর পাঠদান পরিচালনা করাতে অভিভাবকগন নিশ্চিন্তে তাঁদের সন্তানদের কে মানুষ বানানোর লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠান টি পছন্দ করে নিয়েছেন। আবাসিক ছাত্রদের সাথে কথা বললে খাবারের মানসহ বিভিন্ন দিকের বিষয়ে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মো. ইব্রাহীম বলেন, আমরা নূরানী বোর্ড কর্তৃক প্রশিক্ষিত ও সুদক্ষ শিক্ষক দ্বারা বাংলা, গণিত, ইংরেজি অর্থাৎ আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়ে মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করি। ছাত্রদের আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলতে মাদ্রাসার শিক্ষকরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. আবুল কাশেম তুহিন বলেন, আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য আমরা এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করি। এ মাদ্রাসা থেকে হাফেজে কোরআন বের হয়ে বড় আলেম হয়ে দ্বীনের খেদমত করবে সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য। মাদ্রাসা পরিচালনা করার জন্য সরকারী কোন অনুদান দেয়া হয় না। মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পরিচালনা করতে আমাদের সর্বাত্মতক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩