ঝিনাইদহের সদর থানার কামারকুন্ডু গ্রামের নজরুল ইসলামের বড়পুত্র ও একমাত্র ছয় বছরের সন্তান আরজুর পিতা বিপুল বিশ্বাস (২৮) এর গত রাতে করুণ মৃত্যু হয়।
সরেজমিনে বিপুল বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, বিপুল বিশ্বাস গ্রামের বাজারে কসমেটিক্স ব্যাবসা করত। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, একই গ্রামের কবির,মনু ও কিছুদিন যাবত ঝিনাইদহের পাগলাকানায় থেকে ২ জন নতুন বন্ধু (নাম অজানা) সর্বদা বিপুলের দোকানে আড্ডাদিত। সোমবার (৩০ মে) বিকালে বিপুল ও ৪ বন্ধু মিলে ফরিদপুরে বন্ধুর ছেলের জন্ম দিনের দাওয়াত খাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়।
ভোরের দিকে মুঠোফোনে বিপুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশি ফারুক দ্রুত বিপুলের সন্ধানে ফরিদপুরে রওনা করে।
মঙ্গলবার সকালে বিপুলের মরদেহটি উদ্ধার করে ফরিদপুর হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্ত শেষে নিজ গ্রামে বিপুলের লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে বিপুলের বাবা মা ও গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেছেন-কামারকুন্ডু গ্রামের কবির ,মনু ও ঝিনাইদহের পাগলাকানায় থেকে ২ জন নতুন বন্ধু (নাম অজানা) এরা ফুসলে ফরিদপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে বিপুলকে মেরে ফেলেছে। এখানে উল্লেখ্য,কবির,মনু সহ আরো ২ বন্ধু পলাতক রয়েছে। তাদের মুঠোফোন ও বন্ধ আছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন মুঠোফোনে চাঁদপুর টাইমস প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘যৌন পল্লিতে রাতের কোনো এক সময় সে মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রচুর পরিমান যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।’