রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে শনিবার সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সোমবার থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ।
এর আগে ২২ জুন রাজবাড়ীসহ ঢাকা বিভাগের সাতটি জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কিন্তু এরপরও ঢাকামুখী ও ঢাকা ফেরত মানুষকে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসতে দেখা গিয়েছে।
শনিবার সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, প্রচণ্ড রোদের মধ্যে লাগেজ নিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে ছুটছেন। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে যাতায়াত করেছেন। কারও কারও কোলে আবার শিশুসন্তান। এর থেকেও ভয়ের ও চিন্তার বিষয় হলো যারা আসছেন ও যাচ্ছেন তাদের ভেতর অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
অনেককেই দেখা গেছে ভিড়ের ভেতর থাকা সত্ত্বেও মাস্ক পরেননি।
ঢাকা ফেরত যাত্রী সজিব হাসান ভাড়া করা মোটরসাইকেলে যাচ্ছেন কুষ্টিয়া। তিনি বললেন, ‘ঢাকায় ছোট্ট একটা অফিসে পিয়ন হিসেবে কাজ করেন। গতকাল রাতে বস বললেন কাল থেকে তোমাদের ছুটি, তোমরা বাড়ি চলে যাও, বস বেতনের কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন- লকডাউন শেষ হলে চলে এসো। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরছি।’
একটি রেস্টুরেন্টের শেফ মনার যাবেন খুলনা। তিনি বলছিলেন, ইচ্ছে করছে মরে যাই, লকডাউন হলো আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য অভিশাপে মতো।
তিনি বলেন, সোমবারের লকডাউনের কথা শোনার পরে সিদ্ধান্ত রেস্টুরেন্টে বন্ধ থাকবে তাই বাড়ি যাওয়া। ২১ হাজার টাকা পেতাম মালিক ৫ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। আর বলেছে রেস্টুরেন্টে থাকতে পারো খাওয়া-দাওয়া করতে পারবা বেতন দিতে পারবো না।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ বলেন, সোমবার কঠোর লকডাউনের কথা শুনে ঘাটে মানুষের ভিড় বেড়েছে। পথে পথে বাধা পেলেও তাদের আটকানো সম্ভব হচ্ছে না বলেই ফেরি ঘাটে এই ভিড়।
ঢাকা চীফ ব্যুরো, ২৬ জুন, ২০২১;