গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এবং তার প্রতিষ্ঠান ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত যাবতীয় লেনদেনের তথ্য চেয়ে সম্প্রতি সব ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে এনবিআর। সাত দিনের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ তথ্য পাঠাতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ড. কামাল হোসেনের একক বা যৌথ নামে অথবা তার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো মেয়াদী আমানত হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট সুবিধা থাকলে নির্দিষ্ট ছকে ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে হালনাগাদ তথ্য দিতে হবে। সঞ্চয়পত্র বা অন্য কোনো সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট, বিনিয়োগ প্রকল্প, আমানত প্রকল্প বা অন্য কোনো ধরন কিংবা নামে হিসাব পরিচালিত হলে সে তথ্য পাঠাতে হবে। এসবের পাশাপাশি ড. কামাল বা তার প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণের বিপরীতে রক্ষিত জামানতের তথ্যও পাঠাতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে দুটি ছক সংযুক্ত করা হয়েছে। একটি ছকে ঋণ হিসাব বাদে অন্যান্য হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেখানে বছরভিত্তিক প্রকৃত জমা, সুদ, উৎসে আয়কর কর্তনের পরিমাণ এবং স্থিতির তথ্য দিতে হবে। অপর একটি ছকে ঋণ-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, উল্লেখিত সময়ে উত্তোলিত ঋণের পরিমাণ, সুদ ও চার্জ বাদে পরিশোধিত ঋণ, ধার্যকৃত সুদ বা চার্জ এবং ঋণস্থিতির পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ কয়েকটি দল নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আটটি আসনে বিজয়ী হয়। ফল প্রত্যাখ্যান করে সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গণফোরামের দুই এমপি সংসদে যোগ দিয়েছেন।
বার্তা কক্ষ
২৫ এপ্রিল ২০১৯