চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৯:৫২ অপরাহ্ণ, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, সোমবার
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড গৃহীত হলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো বাল্যবিবাহ চলছেই বলে জানিয়েছে গবেষণামূলক সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। অধিকাংশ মানুষ বাল্যবিবাহ বলতে ১১ অথবা ১২ বছরের আগে বিয়ে দেয়াকে বোঝেন বলেও জানায় এই সংগঠনটি। এছাড়া দেড় শতাংশ শিশু বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় বা পালিয়ে বিয়ে করে ফেলে বলেও জানিয়েছেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বিবাহযোগ্য বয়স এবং শিশু বিবাহ : বর্তমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক গবেষণা ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গবেষণা চালিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানালো হলেও নির্দিষ্ট করে কোনো এলাকার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আলম বলেন, আমাদের গবেষণা আওতাধীন এলাকায় দেখা গেছে, শিশু বিয়ের গড় বয়স ১৫ দশমিক ৫৩। অর্থাৎ ১৬ বছরের আগেই এসব এলাকায় শিশুদের বিয়ে দেয়া হচ্ছে। এখানকার অধিকাংশ মানুষের ধারণা ১১ অথবা ১২ বছরের আগে বিয়ে দিলে তবেই তা শিশু বিয়ে।
এলাকাগুলোতে শিশু বিয়ের প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা, দারিদ্র্যতা এবং সামাজিক রীতিনীতি (ভালো বর, যৌতুক, পুরুষের পছন্দ কমবয়সী মেয়ে)।
তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহের শিকার মেয়েদের মধ্যে শতকরা ৬৩ দশমিক ৭৪ ভাগ ছাত্রী, ২৪ ভাগের বেশি ঘরের কাজ করে, আর ১১ দশমিক ৬৩ ভাগ আয়মূলক কাজে নিয়োজিত। এসব এলাকার অধিকাংশ অভিভাবক মনে করেন ১৪ থেকে ১৫ বছর মেয়েদের বিয়ে দেয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহানাজ হুদা বলেন, সব চেয়ে আশঙ্কাজনক ব্যাপার হচ্ছে গবেষণার আওতাধীন এলাকার প্রায় সবাই মনে করে সরকার ইতোমধ্যে বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করে ফেলেছে। আবার অনেকে ১৬ বছরের মেয়েকে ১৮ বানিয়ে বিয়ে দেয়।
বাল্যবিবাহরোধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রেসিডেন্ট মানবাধিকার ও নারী নেত্রী আয়েশা খানম।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫