চাঁদপুরে দেড় দশক আগে চাঁদপুর অডিটরিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু হলেও তা সমাপ্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা।
জেলা শহরের নতুনবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় পরিত্যক্ত হয়ে ভূতুড়ে ভবনে পরিণত হয়েছে নির্মাণাধীন অডিটরিয়াম ভবনটি। ভবনের সামনে বসেছে টং দোকান, সাইকেল গ্যারেজসহ বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান।
২০০৩ সালে চাঁদপুর পৌরসভা চাঁদপুর অডিটরিয়ামের নির্মাণ কাজ করার উদ্যোগ নেয়। ।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হাসান মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ২০০৩ সালে নির্মাণ শুরু হলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় নির্মাণব্যয় বেড়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালের দিকে ভেতরের কাজের জন্য তিন কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
“কিন্তু বিদেশ থেকে জিনিসপত্র আনতে গিয়ে ডলারের দাম বেড়ে পাওয়ার অজুহাতে ঠিকাদার কাজ স্যারেন্ডার করেন। কর্তৃপক্ষ তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করলেও এরপর থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে।”
আসন, সাউন্ড সিস্টেম, স্টেজ, লাইটিং, কার্পেটিং, পর্দা, বিদ্যুৎ-পানি, রঙ করাসহ অডিটরিয়ামের অনেক কাজ বাকি রয়েছে বলে জানান প্রকৌশলী শামসুদ্দোহা।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান ঢালী বলেন, “এখনও প্রায় ১০ কোটি টাকার প্রয়োজন। আমাদের নিজস্ব খাত থেকে এত টাকা ব্যয় করার ক্ষমতা নেই। দাতা সংস্থা পেলে কাজ সম্পন্ন করব।”
এদিকে কাজ শেষ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা।
চাঁদপুর অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী বলেন, “দেড় দশক আগে কাজ শুরু হলেও আমরা এখনও অডিটরিয়ামটি ব্যবহার করতে পারিছ না। আমরা অতিদ্রুত অডিটরিয়াম চাই।”
কাজ সম্পন্ন করতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন চাঁদপুর বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুরে সভাপতি তপন সরকার বলেন, “চাঁদপুর সংস্কৃতির একটি উর্বর ভূমি। এ জেলায় জন্ম নেওয়া অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক অবদান রেখেছেন।
“বর্তমানে এ জেলায় প্রায় ৭০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন সংস্কৃতি চর্চা করছে। এক্ষেত্রে এক শিল্পকলা একাডেমী ব্যতীত আমাদের আর কোনো জায়গা নেই।”
এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদন দেখুন- দেড় যুগেও সমাপ্ত হয়নি চাঁদপুর পৌর অডিটরিয়ামের নির্মাণ কাজ