সারাদেশ

দেড়মাস হয়েগেলো আসামী কৈ ?

সেদিন র‌্যার আমাদের গভীর রাতে তুলে এনেছিলো আসামী ধরা হয়েছে বলে, আজ দেড়মাস অতিবাহিত হয়েগেলো আসামী কৈ ? মঙ্গলবার বিকেলে আবারো সিআইড কার্যালয়ে এসে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর মা।

মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে চারটায় তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম, ভাই আনোয়ার হোসেন এবং তনুর খালতো বোন লাইজু সিআইডি কুমিল্লা কার্যালয়ে উপস্থিত হন।

র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া সম্পর্কে তনুর মা বলেন, আমাদের মিথ্যে আশা (প্রলোভন) দিয়ে আমাদেও গভীর রাতে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। সেদিন আমরা তনুর মৃত্যু শোকে বিহবল, রাতে ব্যারের লোকজন আমাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আমাদের র‌্যাব কার্যালয়ে যাবার কথা বলেন। আমরা যেতে অনিহা প্রকাশ করায় তারা আমাকে প্রশ্ন করা হয় আপনি কি আপনার মেয়ে হত্যার বিচার চান না?

তারা জানালেন তনু হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে। একথা শোনে আমি গভীর রাতেও যেতে সম্মত হই। রাত সাড়ে বারোটায় আমাদের র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। আমার সাথে ছিলো আমার ছোট ছেলে আনোয়ার, আমার বোনের মেয়ে লাইজু। সেখানে নিয়ে আমাদেও তিন জনকে তিনটি পৃথক কক্ষে রাখা হয়। প্রত্যেককে তথ্য বের করার জন্যে হুমকী ধমকী এবং ইলেক্ট্রিক শক দেয়ার ভয় দেখানো হয়। বলা হয় তুমাওে মেয়েকে তুমরাই মেরে ফেলে রেখেছো। অবশেষে ভোর চারটার দিকে আমার অনুরোধে আমাদের র‌্যাব কার্যালয় থেকে বাসায় নিয়ে যেতে সম্মত হয় র‌্যাব সদস্যরা। তখন আমাকে (তনুর মাকে) বলা হয় একটি সাদা কাগজে সই করার জন্যে। তখন তিনি ভয়ে ওই কাগজে সই করেছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান।

তনুর খালাতো বোন লাইজু জাহান এবং তনুর ছোট ভাই আনোয়ারও র‌্যাবের এ ধরনের আচরনের বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এর আগে দুপুরে সিআইডি বন্ধু মাহমুদ, শামীম ও স্থানীয় সঙ্গীত শিল্পী শান্তকে সিআইডি কার্যালয়ে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

দুপুরে কুমিল্লায় আসে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দের নেতৃত্বে সিআইডির একটি বিশেষ দল। বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তনুর ৩ জন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় সিআইডি অফিসে আসেন তনুর বাবা এয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম, বোন লাইজু জাহান, ভাই আনোয়ার হোসেন।

কুমিল্লা করেসপন্ডেন্ট : আপডেট ০৫:১০ এএম, ১১ মে ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ

Share