মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির অনন্য গৌরবের দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি দীর্ঘ তেইশ বছর রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নয় মাস মরণপণ যুদ্ধ করে ১৯৭১ সালের এই দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
২০১৫ সালের বিজয় দিবসে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় দেশ সেবায় আত্মনিয়োগই আমাদের অঙ্গীকার হোক এই আশাবাদ ব্যক্তদ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার বলিষ্ঠ ও আপোষহীন নেতৃত্বে বাঙালি জাতি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬-দফা,১১ দফা ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে ওঠে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ফলে বৈধ ভিত্তি পায় বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্ষা।
জাতির পিতা অনুধাবন করেছিলেন স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ মূলত সেদিন থেকেই শুরু হয় স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত অধ্যায়।
শেখ হাসিনা স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনেন। জাতি পায় স্বাধীন রাষ্ট্র, নিজস্ব পতাকা ও জাতীয় সংগীত। বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তুলে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারী করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে।
নিউজ ডেস্ক ।। ।। আপডেট : ০১:১৪ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫, বুধবার
ডিএইচ