বাংলাদেশে বর্তমানে সাড়ে ৭ লাখ মানুষ দৃষ্টিহীন এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ৬০ লাখেরও বেশি। সারাবিশ্বে এখন দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতায় ভুগছেন প্রায় দু’শো ২০ কোটি। যার মধ্যে অন্তত একশো কোটি মানুষ রয়েছে যাদের সমস্যার সময়মতো ব্যবস্থা নিলে প্রতিরোধ করা যেত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( হু )‘দ্য ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট অন ভিশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রবিবার ( ১৯ জানুয়ারি) ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর দ্যা ব্লাইন্ড সভা-২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও বয়োবৃদ্ধ,জীবনধারার পরিবর্তন এবং নগরায়নের কারণে আগামি দশকগুলোতে চোখের সমস্যা,দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ও অন্ধত্বে ভোগা মানুষের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন,‘ ২০২০ সালেই দেশের ৬৪ টি জেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে চক্ষুসেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন,‘ বাংলাদেশে বর্তমানে সাড়ে ৭ লাখ অন্ধ মানুষ রয়েছে। চোখের অন্যান্য সমস্যাগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৬০ লাখেরও বেশি। কায়িক শ্রম না করার কারণে ডায়াবেটিস রোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের চোখের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশুদের তেমন কোনও খেলার জায়গা না থাকায় শিশুদেরও চোখের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। মানুষের চোখের চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতায় আমাদের উদ্যোগে কোনও রকম ঘাটতি রাখা যাবে না। তাই এবছরই দেশের ৬৪টি জেলাতেই চক্ষু চিকিৎসক পদায়নসহ প্রতিটি উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপন করা হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো.আসাদুল ইসলাম, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডাইরেক্টর এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা.গোলাম মোস্তফা।
ঢাকা ব্যুরো চীফ , ১৯ জানুয়ারি ২০২০