জাতীয়

দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ : শিল্প মন্ত্রণালয়

দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, বর্তমানে দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের চাহিদা ৭৫ হাজার মে. টন। এ বছরের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত লবণ মাঠ ও মিলে মোট ১০ দশমিক ২৬ লাখ মে.টন মজুদ রয়েছে। এছাড়া সকল জেলার ডিলার,পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর লবণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, আয়োডিনযুক্তকরণ, মজুদ ও মূল্য সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- চলতি ২০১৯-২০২০ লবণ মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮.৫০ লাখ মে. টন।

এর মধ্যে এ বছরের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১০.৩৪ লাখ মে. টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে। গত ২০১৮-১৯ লবণ মৌসুমে এ সময় উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯ .৭৫ লাখ মে. টন।

এতে আরও বলা হয়েছে, দেশে মোট নিবন্ধিত লবণ মিলের সংখ্যা ২ শ ৭০ টি। এর মধ্যে করোনা প্রভাবের পূর্বে ১ শ ৮০টি মিল চালু ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে ১ শ’৭০টি মিল চাহিদা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্বল্প পরিসরে চালু রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এ বছরের মার্চ মাসে ৭৩ হাজার ২৮৮ মে.টন আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ ও ৫৫ হাজার ২৬ মে.টন আয়োডিনবিহীন শিল্প লবণ উৎপাদিত হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে লবণ মিলসমূহ চালু রাখার জন্য বিসিকের পক্ষ হতে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সরকার কর্তৃক ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন নিরবিচ্ছিন্নভাবে আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন ও বাজারজাত অব্যাহত রাখতে চাহিদা অনুযায়ী লবণ মিলগুলোতে পটাশিয়াম আয়োডেট সরবরাহ করা হচ্ছে।

এছাড়া, বিসিকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে মাঠে লবণ উৎপাদন,মিলে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আয়োডিনযুক্তকরণ এবং বাজারজাতকরণসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানসহ নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি, লবণ চাষিদের নিয়মিত আবহাওয়া সংবাদ প্রদান, লবণ উৎপাদন ও মজুদ বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান, ক্রুড লবণ বাজারজাতকরণের জন্য লবণ চাষি ও মিলারদেব সাথে যোগাযোগের মাধ্যম সমন্বয় সাধন করতে বলা হয়েছে।

লবণ মিলে শিল্প ও আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন, বিক্রি, মজুদ ও মূল্য সম্পর্কিত নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করে তা বিসিকের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।

ঢাকা ব্যুরো চীফ ৯ এপ্রিল, ২০২০
এজি

Share