দেশে যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে ১২ জনের এইচআইভি

দেশে যক্ষ্মায় আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ১২ জন প্রাণঘাতী এইচআইভি বা এইডস রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান (নিপসম)।

সম্প্রতি তাদের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার ২৮ জুন বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল সভায় গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা.বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ। তিনি এ গবেষণায় প্রধান গবেষক হিসেবে ছিলেন।

গবেষণায় দেখা গেছে,দেশে চিকিৎসাধীন ১২ হাজার যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে এইচআইভি বা এইডসে আক্রান্ত পাওয়া গেছে ১২ জন। প্রতি হাজারে এ সংখ্যা একজন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬৫ %, নারী ৪৩.০৮ % এবং তৃতীয় লিঙ্গ ০.২ %।

দেশে ৩৫ লাখের অধিক যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। গত বছরই ৩ লাখ নতুন করে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

অধ্যাপক ডা.বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ বলেন,‘ যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে কী পরিমাণ এইচআইভি বা এইডসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে এটা জানা যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই জরিপ করা হয়েছে। জরিপটি গত বছর জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে করা হয়েছে। রোগীর মধ্যে ১২ হাজারের অধিক রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’

নিপসম পরিচালক বলেন,‘ যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগী বেশি হলে যক্ষ্মা চিকিৎসায় ব্যাঘাত হবে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা এইচআইভিতে আক্রান্ত তাদের বয়স ৩৫ থেকে ৪৪ বছর মধ্যে ’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা.শামিউল ইসলাম।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ১০,২০,১০০ বা ২০০ জন করে নতুন রোগী প্রতিবছর শনাক্ত হয়েছে।

২০১৮ সালে নতুন রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৯ জনে। এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক রোগী মারা যান ২০০০ সালে। ২০১৮ সালে একই রোগে মৃতের সংখ্যা ১৪৮। ২০১৯ সালে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছিল।

বার্র্তা কক্ষ ২৮ জুন ২০২১
এজি

Share