কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি আয়োজিত ফ্রি কিডনি স্ক্রিনিং ও এওয়ারনেস প্রোগ্রাম-এ প্রায় ৩ শ’ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মগবাজারস্থ নজরুল শিক্ষালয়ে দিনব্যাপী এ ফ্রি চিকিৎসার আয়োজন করা হয়। ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পে ২ জন চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানসহ ১২ সদস্যের একটি টিম কাজ করে। ক্যাম্পস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের কিডনি বিভাগের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. এমএ সামাদ এ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন।
এ সময়ে তিনি বলেন, দেশে প্রতি ৬ জন মানুষের মধ্যে ১ জন কিডনি রোগী। প্রায় ৮০ ভাগ কিডনি অকার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এ রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না বলে অনেকের মাঝেই এ রোগ সুপ্ত অবস্থায় বিরাজ করে ফলে প্রতিবছর কিডনি বিকল হয়ে প্রায় ৪৫ হাজার রোগী মৃত্যুবরণ করছে।
এর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রোগী সামর্থ্যের অভাবে এই রোগের চিকিৎসা করতে পারছেন না। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য জ্ঞানের অভাব, ভেজাল খাবার, পানি, বায়ুদূষণ ইত্যাদির কারণে মানুষ অতি সহজেই নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, অনেক শিশুর মাঝে কিডনি রোগ সুপ্ত অবস্থায় আছে প্রাথমিক অবস্থায় তা নির্ণয় না করলে এর পরিণতি হতে পারে কিডনি বিকল।
শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ একজন সুস্থ মানুষ দেশের জন্য একজন বলিষ্ঠ নাগরিক, সংগঠক, কর্মী হতে পারে। তাই ক্যাম্পস কিডনি রোগ সম্পর্কে বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার জন্য এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, যাতে এই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে সারাজীবন তারা সুস্থ থাকতে পারে।
অধ্যাপক ডা. এমএ সামাদ বলেন, শিশুরা যে তথ্যগুলো জানবে তাদের মাধ্যমে তা তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও দীর্ঘ জীবন ভর দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে কিডনি রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পস এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. এমএ সামাদ, নজরুল শিক্ষালয়ের প্রধান শিক্ষক, আকলিমা জাহান, ক্যাম্পস এর কোষাধ্যক্ষ মো.শাহজাহান প্রমুখ।
বার্তা কক্ষ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২ : ১৫ এএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববার
এজি