দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশি। জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ আর পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ জন।
বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির মিলনায়তনে প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বলা হয়, বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে বেশি জনবসতি ঢাকায়। প্রায় ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৬ জন ঢাকায় বসবাস করেন।
প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
বিভাগভিত্তিক জনসংখ্যার মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৮২০, চট্টগ্রামে ৩ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৬১২, খুলনায় ১ কোটি ৭৮ লাখ ১৩ হাজার ২১৮, ময়মনসিংহে ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭২, রাজশাহীতে ২ কোটি ৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৯, রংপুরে ১ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ৭১ এবং সিলেটে ১ কোটি ১৪ লাখ ১৫ হাজার ১১৩ জন বসবাস করেন।
বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা
২০১১ সালে ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৯০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, এখন ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িছে ৯১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। আগে সনাতন ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ছিল ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এখন কমে দাড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা আগে ছিল শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ। এখন হয়েছে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।
আগে খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ। এখন কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ। আগে অন্যান্য ধর্মের সংখ্যা ছিল শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। এখন কমে হয়েছে শূন্য ৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত জুলাইয়ে দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬। অর্থাৎ যাচাই বাছাই করে নতুন যুক্ত হয়েছে প্রায় ৪৭ লাখ মানুষ। প্রাথমিক হিসাবে বিভিন্ন কারণে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ বাদ পড়েছিল। সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী, সে সময় দেশের জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,দেশের জনসংখ্যার মধ্যে গ্রামে বসবাস করে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ জন। শহরে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জন। বস্তিতে মোট জনসংখ্যা ১৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩০২।
এ ছাড়া ভাসমান জনসংখ্যা ২২ হাজার ১৮৫ জন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ১৯৮১ সালে ছিল ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৮২৮ জন। ৪১ বছর বছর পর অর্থাৎ ২০২২ সালে দ্বিগুণ হয়ে হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৮ জন।
২৮ নভেম্বর ২০২৩
এজি