গত ৭৫ বছরে হারিয়ে গেছে প্রায় ৯শত নদী। গবেষকরা বলছেন, ব্রিট্রিশ আমলের মানচিত্রে এ দেশের নদী ছিল প্রায় ১৩শ। পরে পাকিস্তান ও স্বাধীনবাংলার ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাদৃশ্যে অস্তিত্ব হারিয়েছে এসব নদী। ধীরে ধীরে নদীর জমি চলে গেছে দখলদারদের হাতে।
যৌথ নদী কমিশনের হিসেবে দেশে এখন নদীর সংখ্যা ৪শত ৫টি। এর বেশির ভাগই অধিকাংশ সময় থাকে শুকনো।
এই বিস্তৃর্ণ খোলা জায়গা দেখে মনে হতে পারে ফসলের ক্ষেত। প্রকৃত পক্ষে এটি কালি নদীর শাখা। কোদান নদ বলে পরিচিত । স্থানীয়রা বলছেন, এই নদীর দিকে সবুজ যে দিগন্ত রেখা যাচ্ছে এটিই মূলত নদীর প্রকৃত সীমারেখা। তবে এরই মধ্যে নদীর বেশ কিছু জায়গা সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ভূমিহীনদের। তবে বাকি অংশ চলে গেছে ব্যক্তি মালিকানায়।
দেশের মধ্যকুন্ডের বড় অংশই গঙ্গা, ব্রক্ষ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকায়। এসব অঞ্চলে জালের মতো ছড়িয়ে ছিল অসংখ্য শাখা নদী। পানি আসত ভারত হয়ে। আর জলধারায় গড়ে উঠেছিল জনপদ।
স্থানীয়রা জানান, খালি জায়গা পড়ে থাকার কারণেই মূলত নদীর জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। তারা আরো জানায় নদী ভেঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে মার্কেটও।
কিন্তু নানা অজুহাতে এসব নদীর উজানের কালিঝরা, গজলডোবাসহ নানা পয়েন্টে বাঁধ দিয়ে পানির গতি পথ ঘুরিয়ে নিচ্ছে ভারত। পাশাপাশি দেশের ভিতরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও সেচ প্রকল্প আর নদী ব্যবস্থাপনার দুর্বলতায় দিন দিন ব্যহত হচ্ছে নদী ব্যবস্থাপনা।
নদী গবেষণা ইনস্টিউট সাবেক মহাপরিচালক, প্রকৌশলী ম.এনামুল হক বলেন, বাংলাদেশে প্রায় দুই-তিন হাজার নদী ছিল। আমার কাছেই প্রায় ১২শ-১৩শ নদীর তালিকা আছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসেবে মানে নদী নিয়ে যার কাজ তাদের কাছে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ নদী আছে।
গবেষকরা বলছেন, নদী রক্ষায় নদী কমিশন কার্যকর ভূমিকা না রাখলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ রুদ্ধ হবে আর সেই সুযোগ নেবে দখলদাররা। (ভিডিও সূত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট)
Video….
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur