কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ, সার, বীজ, সেচসহ কৃষি উপকরণে ভর্তুকি প্রদান এবং ফসলের উন্নতজাত উদ্ভাবন ও চাষের ফলে দেশে খাদ্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।’
রবিবার ২৫ অক্টোবর সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে আহম্মদ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘করোনার দুর্যোগেও এখন পর্যন্ত দেশে খাদ্যের কোন সংকট হয় নি। সামনের দিনগুলোতেও যে কোন পরিস্থিতিতে কোনক্রমেই যাতে মানুষের খাদ্য সংকট না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সরকারের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের কোন মানুষকে যাতে না খেয়ে কষ্ট করতে না হয় সেটার নিশ্চয়তা দেয়া। সেজন্য, প্রয়োজন হলে অল্প পরিমাণ চাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে।’
মিল মালিক, পাইকার ও ফড়িয়ারা মিলে একযোগে অতিমুনাফা করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেন,‘করোনা পরিস্থিতিতেও দেশে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। গত বোরো মৌসুমেও ধানের অত্যন্ত ভাল উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু কয়েক দফার দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে আমন ধান উৎপাদন কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
আশানুরূপ উৎপাদন না হওয়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে। এসব কারণে আমরা লক্ষ্য করছি, যারা মিল মালিক, পাইকার ও ফড়িয়া-এরা মিলে অতিমুনাফা করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সরকার এদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে খুব সতর্ক ও কঠোর অবস্থানে আছে।’
বার্তা কক্ষ , ২৬ অক্টোবর ২০২০
এজি