সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশ এক প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে। দেশের এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে একটি রাজনৈতিক দল বা জোট। যখন মানুষকে পুড়িয়ে-জ্বালিয়ে মারছে তখন ডা. সিরাজুল আকবরের মতো একজন রাজনৈতিক নেতা প্রয়োজন ছিল।’
মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য মরহুম ডা. সিরাজুল আকবরের উপর জাতীয় সংসদে আনিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও উনাকে (সিরাজুল) যতোবার মনোনয়ন দিয়েছি ততোবারই তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মাগুরাবাসীর কাছে অত্যান্ত জনপ্রিয় ছিলেন। এই মহৎ চিকিৎসককে হারানোর মধ্য দিয়ে শিশুরা একজন সেবক হারালো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তাকে দুবার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান করেছিলাম। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর রেড ক্রিসেন্টকে দুর্নীতি অনিয়ম থেকে মুক্ত করে এ সংস্থার মর্যাদা ফিরে দিয়েছেন। রেড ক্রিসেন্টের বড় দায়িত্ব যে জনসেবা করা সেটা তিনি প্রতিস্থাপন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘সোমবার ৯ মার্চ যখন বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আমাদের ক্রিকেট দল কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো। আমার সবাই যখন আনন্দে আত্মহারা ঠিক সেই মুহূর্তে শুনতে পেলাম সিরাজুল আকবর আর নেই। এটা সত্যিই খুব বেদনাদায়ক।’
শোক প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক চিফ হুইপ উপধাক্ষ্য আব্দুস শহীদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সরকার দলীয় সদস্য মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, হাবিবে মিল্লাত, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, কামরুন লায়লা জলি, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়। এরপরই সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া সংসদের বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করেন।