দেশে আরো নতুন ১ হাজার ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের কাজ হাতে নেয়া হচ্ছে। পুরনোগুলোর মধ্যে ২ হাজার ক্লিনিকের সংস্কার ও নবরূপায়ণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
সোমবার ( ১৫ মে ) স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যক্রম এবং কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল উপস্থাপন সংক্রান্ত এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ফসল কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমের সাফল্য সারা বিশ্বে বাংলাদেশ গর্বিত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের যেসব অর্জনকে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করছে সেগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক অন্যতম।
গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে পাচ্ছে। ১৫শ’ ক্লিনিকে নিরাপদে সাধারণ প্রসব সম্পন্ন হচ্ছে সফলভাবে।’
কমিউনিটি ক্লিনিক সম্প্রসারণের পাশাপাশি এখান থেকে যেন সাধারণ মানুষ আরো বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে সেই উদ্যোগ নিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
দেশব্যাপি স্বাস্থ্য অবকাঠামো স্থাপনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনবলের দক্ষতা বাড়ানোর উপরও তিনি জোর দেন। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ মোহী, পিএসসি এসময় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনের মাধ্যমে অধিদপ্তরের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং নতুন কমিউনিটি ক্লিনিকের মডেল তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয়,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এ নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:১৫ পিএম, ১৭ মে ২০১৭,বুধবার
এজি