দেশে অমিক্রন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০

দেশে করোনাভাইরাসের অতিসংক্রমক অমিক্রন ধরনে নিশ্চিত সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনা রোগীর নমুনার জিন বিশ্লেষণে অমিক্রনে সংক্রমিত এই রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

করোনাভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত বৈশ্বিক তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটাতে (জিআইএসএআইডি) এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জিআইএসএআইডির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে যে ২০ রোগীর অমিক্রনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছেন, তাঁরা সবাই ঢাকার বাসিন্দা।

গত ১০ ডিসেম্বর দেশে প্রথম অমিক্রন শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম অমিক্রনে সংক্রমিত হন জিম্বাবুয়েফেরত বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের দুই সদস্য। তাঁরা ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার—সবই বাড়ছে।

সংক্রমণের এই বৃদ্ধি করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের কারণে, নাকি অন্য কারণ আছে—তা এখনো স্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছে না।

তবে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, সংক্রমণ আরও বাড়বে। অমিক্রন সারা বিশ্বে অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাসের আর কোনো ধরনের এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে জিন বিশ্লেষণ হয় কম। ৫০০ শনাক্ত রোগীর মধ্যে মাত্র ১ জনের নমুনার জিন বিশ্লেষণ করা হয়। এত কমসংখ্যক নমুনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোন ধরন কী পরিমাণে ছড়াচ্ছে, তা বলা মুশকিল।

তবে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেছেন, করোনারভাইরাসের জিন বিশ্লেষণের ২০ ডিসেম্বর তথ্যে দেখা যায়, সংক্রমণের ১৩ শতাংশের জন্য অমিক্রন ও ৮৭ শতাংশের জন্য ডেলটা দায়ী।

সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হলে কমপক্ষে এক ডোজ করোনার টিকা দেওয়া থাকতে হবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখন থেকে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হলে অন্তত এক ডোজ করোনার টিকা নিতে হবে, না হলে স্কুলে যেতে পারবে না। (সূত্র: প্রথম আলো)

Share