জাতীয়

দেশের ৮৮ ভাগ মানুষই নিরাপদ পানির আওতায়

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে ৮৮ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানির আওতায়। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরামের সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় তিনি ‘বাংলাদেশে ডেটা বিপ্লব ও পয়ঃনিষ্কাশন’ বিষয়ক দুটি সাইড ইভেন্টে সমাপনী বক্তব্য দেন।

গত ৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ‘ডেটা বিপ্লবে পিছনে পড়ে থাকবে না কেউই’ ও ‘পয়ঃনিষ্কাশনে অংশগ্রহণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি : বাংলাদেশ থেকে শেখা’ শীর্ষক সাইড ইভেন্ট দুটিতে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র, নীতিনির্ধারক, বিষয় বিশেষজ্ঞ ও গবেষকসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ইভেন্ট দুটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর আহমেদ খান, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমেরিটাস ফিরোজ আহমেদ, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, গণস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. রাশিদুল হক। সাইড ইভেন্টটিতে আরো বক্তব্য দেন জাতিসংঘের ইকোনমিক ও স্যোশাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক স্টেফান স্কুইনফেস্ট, ইউএনডিপির উপপরিচালক ডগলাস কিহ, নরওয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সিনিয়র অ্যাডভাইজর লাইভ মারগ্রেথ রগনরাদ, ইউএন গ্লোবাল পালসের পরিচালক রবার্ট ক্রিকপ্যাট্রিক, এয়ারবিএনবির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান থাও নাগুয়েন, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট ওমর সিরাজউদ্দিন ও এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী। বক্তারা এসডিজির প্রকৃত বাস্তবায়নে ডেটার যথাযথ ব্যবহার, ডেটাপ্রাপ্তি ও প্রবেশে বৈষম্য কমানোসহ এর বহুমুখী ব্যবহারের ওপর আলোচনা করেন। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের ব্যাপক প্রচার ও পদক্ষেপের ফলে উন্মুক্ত স্থানে পয়ঃনিষ্কাশনের হার মাত্র ১ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশে ৮৮ ভাগ মানুষ এখন নিরাপদ পানির আওতায় এসেছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হলেও তা করতে পেরেছি।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডেটা রেভ্যুলেশনের মাধ্যমে এজেন্ডা ২০৩০ এর মূলমন্ত্র বাস্তবায়নার্থে কার্যকর ও গতিশীল উন্নয়ন প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের অবশ্যই পাঁচটি ক্ষেত্রে রূপান্তর ঘটাতে হবে। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মানসম্মত ও সুবিন্যস্ত ডেটা ব্যতীত কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও সম্পদ বণ্টন সম্ভব নয়, এ কারণেই ডেটা বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

Share