দেশের ৭৭ ভাগ শিশু পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত

মাদকের চেয়ে দ্রুতগতিতে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে যাচ্ছে পর্নোগ্রাফি। ৭৭ ভাগ শিশু আসক্ত হচ্ছে এর ওপর। ফলে দিনকে দিন বাড়ছে ইভটিজিং, যৌনহয়রানি ও ধর্ষণের ঘটনা।

অনেকেই বলেন এর জন্য প্রযুক্তির অপব্যবহারই দায়ী। যদিও মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন যৌন বিষয়ে সঠিক শিক্ষার অভাব আর পরিবারেরর উদাসীনতাই দায়ী প্রযুক্তি একটি মাধ্যম মাত্র।

নতুন প্রজন্ম পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় ভালো খারাপ বুঝার আগেই তাদের হাতছানি লাল-নীল জগতের দিকে।

পর্নোগ্রাফিতে কিশোর-কিশোরীর আসক্তির হার ৭৭ % তাদের কাছে যৌনতার উপস্থাপন শিক্ষা নয় বরং লুকিয়ে রাখাই বাস্তবতা। গবেষণা বলছে, ১১ থেকে ১৩ বছরের কিশোর-কিশোরিরাই পর্নোগ্রাফিতে বেশি আগ্রহী।

বিশেষ করে নিজের ও বিপরিত লিঙ্গের দৃশ্যমাান শারীরিক পরিবর্তন এবং সেখান থেকেই তৈরি হয় নতুন কৌতুহল।

বাবা -মা যদি এ বিষয়ে সন্তানের মধ্যে মূল্যবোধ তেরি করে তাহলে অনেকাংশেই সমস্যা সমাধান হবে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

মনোবিজ্ঞান বলছে পর্নোগ্রাফির কেমিক্যাল আসক্তি হেরোইনের মতোই । শুধু প্রয়োগটা ভিন্ন। মাদক গ্রহণের ফলে আসক্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের যে অংশে অনুভূতি কাজ করে ঠিক সেই অংশই উদ্দিপিত হয়ে উঠে আসক্তরা যখন পর্নো দেখে।

তাছাড়া স্থায়ীভাবে যৌনক্ষমতা হারানোর সম্ভাবনাও তীব্র হয়।

মনোবিজ্ঞানী ডা. মনোয়ারা পারভীন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমানের পরামর্শ এসব সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তির অপব্যবহার যেমন থামাতে হবে তেমনি সময় মতো সন্তানদের শিখাতে হবে ভালো মন্দের পার্থক্যও।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:০০ পিএম, ৩০ জুন ২০১৬, বৃহস্পতিবার
এজি/ডিএইচ

Share