দেশের ৪ লাখ ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষার্থী স্কুল ফিডিং’র অন্তর্ভূক্ত

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের ১৬ উপজেলায় ৪ লাখ ১০ হাজার ২ শ ৩৮ জন শিক্ষার্থী স্কুল ফিডিং-এর আওতায় আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১৬ টি উপজেলার ২ হাজার ১ শ ৬৬ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এতে সুফলভোগী হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন আজ কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার রৌমারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় স্কুল ফিডিং-এর উদ্ভোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

কুড়িগ্রামের জেলাপ্রশাসক সুলতানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন,প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমেদ।

এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাবুল ও রতন চন্দ্র পন্ডিত, রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো,
ডব্লিউএফপিএ-এর রংপুর প্রতিনিধি বীথিকা বিশ্বাসসহ রংপুরের উপ-পরিচালক ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং এ কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস-এর প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে দুপুরে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হবে।এ উপলক্ষে জাতীয় মিড ডে- মিল নীতিমালা ২০১৯ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১৬ টি উপজেলার ২ হাজার ১শ ৬৬ টি বিদ্যালয়ের ৪ লাখ ১০ হাজার ২ শ ৩৮ জন শিক্ষার্থী এতে সুফলভোগী হবে। আজকে এ রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলাসহ ইতোমধ্যে ১৬ উপজেলায় এ কার্যক্রম চালু হল। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন,‘ চলতি বছরের মার্চ থেকে স্কুল মিল কার্যক্রম চালু করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে একদিন অন্তর অন্তর রান্না করা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুট সরবরাহ করা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার ছিল ৫০ ভাগেরও বেশি।

এ সরকারের সময়ে এ পরিস্থিতি আমুল বদলে গেছে। শেখ হাসিনার সরকার দেখিয়েছেন বিদ্যালয়ে শিশুদের খাবার নিশ্চিত করা গেলে দেশ আরও এগুবে। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।। তাই ২০২৩ সালের মধ্যে সারাদেশের স্কুলগুলো এ কর্মসূচীর আওতায় আসবে।’

প্রসঙ্গত , ২০১০ সাল থেকে দারিদ্য্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি’ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের ১০৪ টি দারিদ্র্য প্রবণ উপজেলা যার মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার সকল উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। জানা গেছে বর্তমানে সরকারি অর্থায়নে ৯৪টি উপজেলায় এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অর্থায়নে ১০ টি উপজেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।

এ কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পভুক্ত ১০৪ টি উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ( নতুন জাতীয়করণসহ), শিশুকল্যা ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসায় এবং এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত প্রত্যেক শিক্ষার্থীদেরকে দৈনন্দিন উপস্থিতির ভিত্তিতে প্রতি স্কুল দিবসে ৭৫ গ্রাম ওজনের পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট সরবরাহ করা হচ্ছে।

অন্যদিকে স্কুল মিল কার্ষক্রমে রান্নাঘর নিমার্ণ করা হয়েছে। শিশুদের মাঝে রান্না করা গরম খাবার সরবরাহ করার জন্য রাধুনি নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ( বারটান) এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি পরে প্রতিমন্ত্রী রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার পরিবেশন করে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উদ্ধোধন করেন।

বার্তা কক্ষ,১৬ জানুয়ারি, ২০২০