চাঁদপুর

দেশের ৪৮ পৌরসভার মধ্যে চাঁদপুর হচ্ছে স্মার্ট সিটি : পৌর মেয়র

চাঁদপুর পৌর মেয়র আলহাজ¦ নাছির উদ্দিন আহমেদ তিনি তার বক্তব্যে বলেন, দেশের ৪৮ টি পৌরসভার মধ্যে চাঁদপুর, নরাইল, নারায়নগঞ্জ ও পাবনা এই ৪টি হচ্ছে স্মার্ট সিটি। আর এই ৪টির মধ্যে চাঁদপুর হচ্ছে প্রথম। এই সম্মান চাঁদপুর পৌরবাসীর সহযোগিতার জন্য সম্ভব হয়েছে।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর পৌরসভার তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতিকরন প্রকল্প (ইউজিআইআইপি-৩) এর আওয়তায় নগর সমন্বয় কমিটি (টিএলসিসি) সভা পৌরপাঠাগারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পৌর মেয়র বলেন, ‘পৌরসভার ট্যাক্সের টাকায় পৌরসভা পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের মধ্যে চাঁদপুর পৌরসভা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতায় এক নাম্বারে রয়েছে। আমরা সব সময় জনসম্মুখে আমাদের কার্যক্রম প্রকাশ করি। এখানে কোন লুকোচুরি হয় না। এই পৌরসভা একটি দুর্নীতিমুক্ত পৌরসভা।’

তিনি আরো বলেন, ‘সকল রাস্তা-ঘাটের কাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ করা হবে। চাঁদপুরে আমাদের টিএলসিসির সভাটি বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আর এখানে যারা আছেন সবাই আন্তরিক ভাবে কাজ করছেন এবং তারা আমাদেরকে পরামর্শ দেন আমরা তা বাস্তবায়ন করে থাকি। এর মধ্যেই চাঁদপুর পৌরসভা অনেক সমস্যার সমাধান করেছে।’

তিনি আরো বলেন, পৌর সভার আগামী দিনের যে কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে তার মধ্যে বিপনীবাগ মার্কেটের জায়গায় ১০ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মান, বর্তমান পৌর পাঠাগারের স্থানে বহুতল বিশিষ্ট নগর ভবন নির্মান, পুরানবাজার কমিনিউটি সেন্টারের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ, পরিচ্ছনতা কর্মীদের জন্য পুরাণবাজারে সুইপার কলনির জায়গায় তাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা, বাবুরহাটে ৫ তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক মার্কেট নির্মাণ করা এবং নতুন বাজার-পুরান বাজার ব্রীজের সাথের মার্কেটটি ভেঙ্গে ৫ তলা বিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ করা হবে। পৌর সভায় যে দুটি বিশুদ্ধ পানি শোধনাগার হয়েছে তার মধ্যে পুরাণ বাজারেরটি জানুয়ারি মাসে ও ঘোড়ামাড়ারটি মার্চ মাসে চালু হবে।

এছাড়া তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে চাঁদপুর পৌরসভা সবর্ দিকদিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে। ইউএনডিপি মাধ্যমে আগামী ৫ বছরে চাঁদপুর পৌরসভার সকল অসমাপ্ত কাজ সস্পন্ন করে একটি আধুনিক নগরিতে পরিণত করা হবে। মনে রাখতে হবে পৃথিবীর কঠিন কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মানব সেবা করা। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে পৌরসভার উন্নয়ন ও পৌরবাসীর সেবা তাদের দৌঁড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া।’

তিনি বলেন, পৌরসভার আইনে বলা আছে তৃনমূলের উন্নয়নের লক্ষে টিএলসিসি সভা ও কমিটির মাধ্যমে তাদের মতামতের ভিত্তিতে সকল প্রকার উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। পৌর পরিষদের বাইরে ব্যবসায়ি, পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিকরা এ কমিটি সদস্য হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের সমস্যা সভা গুলোতে ওঠে আসে। সকল প্রকার উন্নয়ন কাজ যাতে মানসস্মত হয় তার জন্য আগামীতে প্রতি ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলরকে প্রধান করে একটি করে কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে। যাতে হরে উন্নয়ন কাজের গুনগত মান নির্নয়করা যায়।

পৗরসভার প্রধান সহকারী মফিজুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর সচিব আবুল কালাম ভূঁইয়া, অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টিএলসিসি সদস্য চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, জেলা ক্যাব সভাপতি জিবন কানাই চক্রবর্তী, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, কাজী সাহাদাত, গোলাম কিরীয়া জিবন, টিএলসিসি সদস্য পৌর কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আব্দুর রশিদ সরদার, জেলা ন্যাপ সভাপতি আবুল কালাম পাটওয়ারী, পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম শামসুদ্দোহা,শাহাজাহান মাতাব্বর, জেলা পরিষদের নির্বচিত সদস্য খোদেজা রহমান, রাজ্জাক মোল্লা, আক্তার হোসেন বাচ্ছু পাটওয়ারী, তমাল কুমার ঘোষ, শাহাজাহান মাতাব্বর, কাউন্সিলর মামুনুর রহমান দোলন, মো. আলমগীর হোসেন গাজী ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টিএলসিসি সদস্য প্যানেল মেয়র হুমায়ুন কবির খান, কাউন্সিলর, বিল্লাল হোসেন মাঝী, শাহ আলম বেপারী প্রমুখ।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:০০ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Share