বিশ্ব হেড-নেক সংস্থা দেশের ক্যান্সার রোগীদের ৩০% হেড-নেক ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে বুধবার (২৭ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়ছে।
তামাক ও অ্যালকোহল বর্জনের মাধ্যমে এর অধিংকাশ প্রতিরোধ সম্ভব বলে বাংলাদেশ সোসাইটি অব হেড-নেক সার্জনস জানিয়েছে।
হেড-নেক ক্যান্সার বলতে মূলত: গলা মুখের বিভিন্ন গ্রন্থি, জিহবা, স্বরযন্ত্র, খাদ্যনালীর উপরের অংশ, নাক ও কানের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার বুঝায় ।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ৩ সপ্তাহের অধিক সময় মুখের ভেতর ক্ষত নিরাময় না হওয়া, খাবার চিবানো বা গিলতে অসুবিধা হওয়া, ৪ সপ্তাহের অধিক পরিবর্তিত কণ্ঠস্বর স্বাভাবিক না হওয়া, রক্ত মিশ্রিত সর্দি বের হওয়া, গলায় বা মুখে ফোলা দেখা দেয়া এ রোগের লক্ষণ।
কারণ হিসাবে বিভিন্ন ধরনের তামাকদ্রব্য যেমন সিগারেট, বিড়ি, হুক্কা, গুল, সাদা পাতা, জর্দ্দা ইত্যাদিকে দায়ী করা হয়। উপমহাদেশে বিশেষত: পান-সুপারি, চুন, সাদা-পাতা, জর্দ্দা, গুল ইত্যাদি মুখ গহ্বর এবং খাদ্য নালীর উপরের অংশের ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
এ ছাড়াও অ্যালকোহল ও অতিরিক্ত ঝালযুক্ত খাবারও হেড-নেক ক্যান্সার জন্য দায়ী। তবে সবুজ শাক-সবজি হেড-নেক ক্যান্সার প্রতিরোধ ভূমিকা রাখতে পারে।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০১:০০ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ