কুমিল্লা ইপিজেড কুমিল্লা ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন ভূমিকা রাখছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বেপজার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিন্তে আলমগীর। তিনি বৃহষ্পতিবার দুপুরে দেশের সার্বিক উন্নয়নে কুমিল্লা ইপিজেড এর ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত করণের লক্ষ্যে জরুরী প্রেস ব্রিফিং কালে এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি কুমিল্লা ইপিজেড এর বিভিন্ন বিষয় সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা ইপিজেডের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
বেপজার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিনতে আলমগীর জানান, কুমিল্লার পুরাতন বিমানবন্ধর এলাকায় ২৬৭.৪৬ একর জমিতে কুমিল্লা ইপিজেড বাংলাদেশ ৪র্থ বৃহত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা। অর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০০ সালে কুমিল্লা ইপিজেড উদ্বোধন করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বেপজার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিন্তে আলমগীর বলেন, বিনিয়োগ আকর্ষণ,পণ্যের বৈচিত্র্যায়নের মাধ্যমে রপ্তানী বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রভৃতি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে ইপিজেডের যাত্রা শুরু হয়। ইপিজেডের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা। বেপজার অধীন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্থাপিত ৮টি ইপিজেড প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিল্পায়ন, বিনিয়োগ আকর্ষণ, রপ্তানী বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বেপজার অধীন আরও তিনটি নতুন ইপিজেড স্থাপনের কাজ চলছে। এছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ বছরই বিনিয়োগকারীদের বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্লট বরাদ্দ দেয়ার পরিকল্পনা করছে বেপজা।
বেপজার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিন্তে আলমগীর আরও বলেন, বেপজার অধীনে মাত্র ২৩০৭.২৭ একর জায়গায় স্থাপিত দেশের ৮টি ইপিজেড বিগত ৫ বছর জাতীয় রপ্তানিতে প্রায় ১৯-২০% অবদান রেখে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১২ বছরে (২০০৯-২০২০) বেপজা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। ২০০৮ সাল পর্যন্ত বেপজার বিনিয়োগ ছিল ১৫০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২০ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৫৪২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে অর্থাৎ এসময়ে বিনিয়োগ বেড়েছে ৩৯১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৮ সাল পর্যন্ত চালু শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট রপ্তানি ছিল ১৭,৫৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বর্তমানে প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ৮৩,৬৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। কর্মসংস্থান বেড়ে দাড়িয়েছে ২,০৩,৪৪৭ জন থেকে ৪,৩৭,৫৮৬ জন বাংলাদেশি নাগরিকের। গত ১২ বছরে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৭৯ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৬৭ টি।
তিনি জানান, বেপজার আওতাধীন আটটি ইপিজেডের চালু কারখানাসমূহ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে যা দেশের মোট জাতীয় রপ্তানির ১৯.২৭ শতাংশ। করোনা মহামারী বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্থ করেছে। ফলস্বরূপ, দেশের জাতীয় রপ্তানি ৪০.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ৩৩.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সরকারের কিছু বাস্তববাদী ও সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে জাতীয় রপ্তানিতে ইপিজেডের অবদান আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
বেপজা সামাজিক দূরত্ব এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে নাজমা বিন্তে আলমগীর বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে নিরবচ্ছিন্নভাবে উৎপাদন কার্যক্রম বজায় রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। সময়ের প্রয়োজন মেটাতে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) উৎপাদন করতে আগ্রহী এমন কারখানাগুলিকে উৎসাহিত ও সাহায্য করেছিল বেপজা। ফলশ্রæতিতে আজ বেপজার প্রতিষ্ঠানগুলো এ খাতের বড় রপ্তানীকারক।
বেপজার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক জানান, কুমিল্লা ইপিজেডে এ পর্যন্ত মোট বিনিয়োগ এসেছে ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, রপ্তানী হয়েছে ৩,৬৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য সামগ্রী। বাংলাদেশের বিনিয়োগকারী ছাড়াও চীন, তাইওয়ান, হংকং, নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, জাপান, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, কানাডা, ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকারীরা কুমিল্লা ইপিজেডে বিনিয়োগ করছে।
কুমিল্লা ইপিজেডে উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে গার্মেন্টস, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, স্যুয়েটার, ফেব্রিক্স, টেক্সটাইল ডাইজ এন্ড অক্সিলিয়ারিস, ইলেকট্রনিক্স পার্টস, এলিমেনেটিং ব্রাশ, ফুটওয়্যার ও ফুটওয়্যার আপারস, ক্যামেরা কেইস, ব্যাগ, ইয়ার্ণ, প্লাস্টিক পণ্য, হেয়ার ও ফ্যাশন এক্সেসরিজ, মেডিসিন বক্স, আই প্যাচ, কার্পেট, গেøাভস, লাগেজ, মেডেল, পেপার প্রোডাক্ট প্রভৃতি।
তিনি বলেন, ইপিজেড স্থাপনের পূর্বে এই এলাকা কী ছিল আর বর্তমানে কী পরিবর্তন হয়েছে তা আপনারা সকলেই জানেন। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, নগরায়ণ, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, শপিংমলসহ অনেক বৃহৎ শিল্প স্থাপিত হয়েছে ইপিজেডকে কেন্দ্র করে। এই এলাকায় হাজারের উপরে শিল্প কারখানা রয়েছে যার গোড়াপত্তন হয়েছে ইপিজেডকে কেন্দ্র করে।
এসময় বর্তমানে কমিল্লা ইপিজেডে ৪৭ টি চালু শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, ইপিজেডের যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতাদি ইপিজেডের বাইরের প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কমপক্ষে ৩০% বেশি। আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই যে, ইপিজেডের সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিয়মিতভাবে বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করা হয়।
আপনাদের আনন্দের সাথে জানাই কুমিল্লা ইপিজেড সুরক্ষিত নিরাপদ কর্মক্ষেত্র। ইপিজেডের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আগুনে কোন দূর্ঘটনা ও অবহেলায় কোন মৃত্যুর ঘটনা নেই। কুমিল্লা ইপিজেডের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ও একটি পুলিশ ফাঁড়ি, আনসার ব্যারাক, কর্মরত শ্রমিকদের সন্তানদের মানসম্মত শিক্ষার জন্য বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে রয়েছে একটি মেডিকেল সেন্টার।
নাজমা বিন্তে আলমগীর জানান, বেপজা আর্থ-সামাজিক উন্নয়েনের পাশপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমি গর্বের সাথে বলতে চাই, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ টঝ এৎববহ ইঁরষফরহম ঈড়ঁহপরষ কর্তৃক চিহ্নিত বিশ্বের শীর্ষ ৫ (পাঁচ) টি লিড প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত প্রথম দশটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২ (দুই)-টিই ইপিজেডে অবস্থিত।
বেপজার ৮টি ইপিজেডের মধ্যে বিগত দশ বছরে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও কুমিল্লা ইপিজেডের কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার চালু রয়েছে। ২০১৫ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লা ইপিজেডের কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) উদ্বোধন করেন। সিইটিপি চালুর ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে ইপিজেডের শিল্প কারখানাসমূহের তরল বর্জ্য পরিশোধন সম্ভব হচ্ছে যা ইপিজেডসহ আশ-পাশের পরিবেশ উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে আমরা মনে করি।
মেসার্স সিগমা ইকো-টেক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনায় কুমিল্লা ইপিজেডের এই কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগারটি রাসায়নিক এবং জৈবিক উভয় পদ্ধতিতে প্রতিদিন ১৫,০০০ ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধন করার ক্ষমতা রাখে। প্রতিদিন এখানে গড়ে ৮০০০ ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধন করা হয়। উল্লেখ্য, কারখানা সমূহ হতে পৃথক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্পূর্ন তরল বর্জ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারে নেওয়া হয়। পরিবেশ আইন’ ১৯৯৭ অনুযায়ী সিইটিপি কর্তৃক পরিশোধিত পানির গুনগত মানমাত্রা সর্বদা সীমার মধ্যে থাকায় কার্যতঃ ইপিজেডস্থ কারখানা সমূহের নিজস্ব ইটিপির প্রয়োজন হচ্ছে না।
সিইটিপির কার্যক্রম সঠিকভাবে নিশ্চিতকল্পে বেপজার কাউন্সিলর কাম ইন্সপক্টের (এনভায়রনমেন্ট)গন প্রতিদিন একাধিকবার মাঠ পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করছেন। প্রতিমাসে দুইবার সিইটিপির আউটলেটের পানি চট্টগ্রামস্থ বেপজা গ্রীণ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। প্রতি তিনমাস অন্তর পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে সিইটিপির ইনলেট ও আউটলেট হতে নমূনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়। প্রতি ছয়মাস অন্তর বুয়েট ল্যাব হতে সিইটিপির আউটলেটের পানি ও স্লাজ পরীক্ষা করা হয়। কুমিল্লা ইপিজেডস্থ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের বায়ার ও তার মনোনিত প্রতিনিধিগণ কর্তৃক সময়ে সময়ে আকস্মিকভাবে সিইটিপির অপারেশনাল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং নমূনা সংগ্রহ করে ৩য় পক্ষ নিরীক্ষক যেমন, SGS, Bureau Veritas, Intertek, Control Union হতে পরীক্ষা করা হয়।
সিইটিপির আউটলেটে সংযুক্ত সিসি ক্যামেরা এবং গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরীর মাধ্যমে সিইটিপির সার্বিক পরিশোধন কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগাররে পানি পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্ধারিত মানমাত্রা বাজায় রেখে নিঃশ্বরিত হচ্ছে। ফলে নিঃশ্বরিত পানির মাধ্যমে পরিবেশ , নদীনালা, কৃষি জমি তথা জীববৈচিত্রের কোনরূপ ক্ষতিসাধন হয় না।
কুমিল্লা ইপিজেড বর্তমানে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং স্থানীয় অধিবাসীদের সহায়তায় কুমিল্লা ইপিজেডের এ শান্তিপূর্ণ কর্মপরিবেশ বজায় রেখে আরো বেশি পরিমাণে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মাধ্যমে রপ্তানী বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বেপজা তথা কুমিল্লা ইপিজেড সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং দেশের স্বার্থে, এ অঞ্চলের মানুষের কল্যানার্থে তথা ইপিজেডের নিরবিচ্ছিন্ন কর্মকান্ডের জন্য সঠিক তথ্য প্রকাশে আপনারা ভুমিকা পালন করবেন।
বেপজার জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক নাজমা বিন্তে আলমগীর জানান, বর্তমানে কুমিল্লা ইপিজেডে ২৩৪ টি প্লটে ৪৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে ৯ টি দেশি প্রতিষ্ঠান, বিদেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩৫ টি এবংদেশি-বিদেশির সম্বনয়ে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ১৩ টি। ৪৭ টি প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৫শত ৪৩ জন শ্রমিক কর্মরত আছেন। যার মধ্যে ২০ হাজার ৮ শত ৯৭ জন নারী শ্রমিক ও ১৩ হাজার ৬ শত ৪৬ জন পুরুষ শ্রমিক রয়েছে।
কুমিল্লা ইপিজেডে এ পর্যন্ত মোট বিনিয়োগ এসেছে ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, রপ্তানী হয়েছে ৩ হাজার ৬ শত ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য সামগ্রী।
তিনি আরো জানান, কুমিল্লা ইপিজেডের কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগারটি রাসায়নিক এবং জৈবিক উভয় পদ্ধতিতে প্রতিদিন ১৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধন করার ক্ষমতা রাখে। বর্তমানে প্রতিদিন ৮ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধন করা হয়। ফলে কুমিল্লা ইপিজেডের বর্জ্যে পরিবেশের কোন ক্ষতি হচ্ছে না।
অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান সহ কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক:জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ৪ মার্চ ২০২১