প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নের নারী-পুরুষের সমান সুযোগ সৃষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। একই সঙ্গে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সংস্কৃতির যথাযথ বিকাশও অত্যন্ত জরুরি।’ খবর : বাসস
প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. চৌধুরী মোহাম্মদ বাবুল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন। সমিতির সভাপতি সিতারা আহসান উল্লাহ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদিকা তানিয়া হক প্রধানমন্ত্রীকে মহিলা সমিতির পক্ষে ক্রেস্ট উপহার দেন এবং অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নাট্য অন্দোলনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশে বিশ্বমানের একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল থিয়েটার নির্মাণের উদ্যোগ নেবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে একটাও বিশ্বমানের অত্যাধুনিক ডিজিটাল থিয়েটার নেই। আমরা তা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে আগ্রহী। কাজেই টাকা-পয়সার সমস্যা হবে না। এই অত্যাধুনিক থিয়েটার হলটি এখানে অথবা পদ্মা সেতুর কাছে যে কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানেও নির্মাণ করা যেতে পারে।’
দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বিকাশে নাট্যচর্চার বিরাট ভূমিকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যখন মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা ছিল, তখন নাটকের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে নাটক নীল দর্পণের ঐতিহাসিক ভূমিকাসহ ভোট ও ভাতের আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দেশের সকল গণ-আন্দোলনে নাট্য আন্দোলনের গৌরবজ্জ্বল ভূমিকার উল্লেখ করেন।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১০:৫১ অপরাহ্ন, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, শনিবার
এমআরআর