প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন শপথ বাক্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের এই শপথ পাঠ করার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে উভয় মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
সাধারণত ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারি-বেসরকারি প্রাত্যহিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘অ্যাসেম্বলি’ নামে পরিচিত এই সমাবেশে হালকা শরীর চর্চার পাশাপাশি শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। এ ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শপথ পড়ানোর রেওয়াজ আছে। অভিন্ন না হলেও এসব শপথের প্রধান মর্মার্থ দেশপ্রেম। এ ছাড়া জাতীয় প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই জাতীয় সংগীত পাঠ করানো হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আলমগীর হুসাইন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের সমাবেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর শপথ পাঠ করতে হবে। ইংরেজি মাধ্যম/বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশকালে নতুন শপথ বাক্য পাঠের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
নির্ধারিত শপথ বাক্যটি হলো- ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে প্রাথমিক স্তরের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও একই ধরনের শপথ বাক্য পাঠের নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১৩ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ বাস্তবায়নের জন্য জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিভাগীয় উপ-পরিচালকসহ মাঠপর্যায়ের শিক্ষা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur