২০১৩-১৪ সালের করবর্ষের সম্পদ বিবরণীর তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশের শীর্ষ সম্পদশালী ৫০ ব্যাক্তির তালিকায় দেখা গেছে ১০০ কোটি টাকার বেশি নিট সম্পদের মালিক রয়েছেন ২৭ জন। আর ৫০ কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি টাকার নিট সম্পদের মালিক রয়েছেন এমন সম্পদশালীর সংখ্যা ৪৬ জন।
এনবিআরের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের তালিকায় এমন তথ্য জানা গেছে। মোট সম্পদ থেকে মোট দায় বাদ দিলে যা থাকে তাই নিট সম্পদ। প্রকাশিত নিট সম্পদের এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী শওকত আলী চৌধুরী। তার প্রদর্শিত সম্পদের পরিমাণ ২৭৫ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সম্পদশালী ব্যাত্তির তালিকায় রয়েছেন নাভানা গ্রুপের সাইফুল ইসলাম। যার নিট সম্পদের পরিমাণ ২৭০ কোটি টাকা। ২০৫ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের সা’দাদ সোবহান। ২০০ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন হোসাফ গ্রুপের মোয়াজ্জেম হোসেন। ১৬৫ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বেঙ্মিকোর সালমান এফ রহমান। ষষ্ট স্থানে আফরোজা বেগম। যার নিট সম্পদের পরিমাণ ১৫৮ কোটি টাকা।
১৫৫ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের সাফওয়ান সোবহান। শীর্ষ সম্পদশালীর তালিকায় সবচেয়ে বেশি সদস্য রয়েছেন আকিজ পারিবারের। এ পরিবারের পাঁচ সদস্য শেখ বশিরউদ্দিন, শেখ জামিল উদ্দিন, শেখ জসিম উদ্দিন, শেখ শামীম উদ্দিন ও শেখ নাসির উদ্দিন প্রত্যেকেই ১৪০ কোটি টাকার নিট সম্পদের মালিক। গেটকোর অংশীদার ও প্রাইম ব্যাংকের পরিচালক এম এ খালেকরও রয়েছে ১৪০ কোটি টাকার নিট সম্পদ। যৌথভাবে তারা রয়েছেন তালিকার অষ্টম স্থানে। ১৩৭ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে তালিকার নবম স্থানে রয়েছেন বেঙ্মিকো গ্রুপের সোহেল এফ রহমান। ১৩৫ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে দশম স্থানে রয়েছেন মজ্ঞুরুল ইসলাম। এছাড়া আনোয়ার হোসেনের নিট সম্পদ রয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
তালিকায় ক্রম অনুয়ায়ী এরপর নিট সম্পদের তালিকায় ১৩০ কোটি নিয়ে নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদার, ১২৫ কোটিটাকা নিয়ে প্রাণ গ্রুপের আহসান খান চৌধুরী, ১২০ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে এস আলম গ্রুপের মো. সাইফুল আলম ও মো. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী। এর পরে রয়েছেন ১১০ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে মো. মোসাদ্দেক আলী এবং ১০৭ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে হাজি ইউনূস। গাজী গ্রুপের কর্ণধার গোলাম দস্তগীর গাজীর নিট সম্পদের পরিমাণ ১০৫ কোটি টাকা। ১০০ কোটি টাকা নিট সম্পদের মালিক মোরশেদ আলম ও নিটল-নিলয় গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল মাতলুব আহমাদ। মো. ফারুকের নিট সম্পদের পরিমান ৯৬ কোটি ও মো. হানিফের ৯৫ কোটি টাকা। ৯০ কোটি টাকার নিট সম্পদের মালিক ওরিয়ন গ্রুপের কর্ণধার ওবায়দুল করিম। এছাড়া জাহাঙ্গীর আলম খানের নিট সম্পদের পরিমান ৮৭ কেটি, মো. আমানউল্লাহর ৮৬ কোটি, মোয়াজ্জেম হোসেনের ৮১ কোটি, মেহদাদুর রহমানের ৮১ কোটি ও সৈয়দ হোসেন চৌধুরীর ৭৬ কোটি টাকা। প্রাণ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর নিট সম্পদের পরিমান ৭৫ কোটি, আবদুস সালামের ৭০ কোটি, আজিজ আল মাহমুদের ৬৮ কোটি ও মনোয়ারা বেগমের ৬৭ কোটি টাকা। বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও এনভয় গ্রুপের কর্ণধার কুতুবউদ্দিন আহমদের নিট সম্পদের পরিমান ৬৭ কোটি, সালমা হকের ৬৪ কোটি টাকা। এছাড়া মিজানুর রহমানের ৬৪ কোটি, ইউনিক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মো. নুর আলীর ৬০ কোটি, নাসিফ সিকদারের ৬০ কোটি ও নজরুল ইসলাম স্বপনের ৫৯ কোটি টাকার নিট সম্পদ রয়েছে। ৫৮ কোটি টাকার নিট সম্পদ নিয়ে সম্পদশালীদের তালিকায় রয়েছেন বিজেএমইএ’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম মুর্শেদী। এছাড়া নিট সম্পদের পরিমান মো. ইউনুছের ৫০ কোটি টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান রাগীব আলীর ৫০ কোটি টাকা, জ্যোৎস্না বেগমের ৪৪ কোটি, মনজুর মোর্শেদ
খানের ৪২ কোটি, আজিম উদ্দিনের ৪০ কোটি ও আলী আজগরের ৩৯ কোটি টাকা।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সভাপতি ও এপেঙ ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরের নিট সম্পদ রয়েছে ২৭ কোটি টাকা, ইস্টকোস্ট গ্রুপের কর্ণধার আজম জে চৌধুরীর ২৫ কোটি ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের ২১ কোটি টাকা।