দেশের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি এবং এখনও বিপৎসীমার ওপরে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, পদ্মার পানি গোয়ালন্দ ও ভাগ্যকুল পয়েন্ট এবং যমুনার পানি আরিচা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। এতে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও জামালপুরে প্লাবিত হয়েছে বেশকিছু নতুন এলাকা।
তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, নেত্রকোনা সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বন্যাদুর্গত এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে কয়েক লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছেন তারা।
যমুনা নদীর পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬৩২ হেক্টর জমির ফসল। বিভিন্ন জেলায় লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
তিস্তার ভাঙনে কুড়িগ্রামের উলিপুরের নাগরাকুড়া টি বাঁধের ব্লক পিচিংসহ ৫০ মিটার অংশ নদীতে বিলীন হয়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় ৩ হাজার ৬শ হেক্টর জমির ফসল। গাইবান্ধায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ২০ হাজার মানুষের মধ্যে তিন হাজার মানুষ গৃহহীন। তারা আশ্রয় নিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,বাঁধসহ উঁচু স্থানে।
জামালপুরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দু’শতাধিক গ্রামের রাস্তাঘাট ও কয়েকশ একর জমির ফসল। সিরাজগঞ্জে স্লুইচ গেট ভেঙে হুমকির মুখে পড়েছে কাটাখালি ব্রিজ।
বার্তা কক্ষ ,১ জুলাই ২০২০