নিজেকে দেশের প্রবীণ মানুষ হিসেবে দাবি করেছেন মোখলেছুর রহমান। তিনি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মনপাল গ্রামের বাসিন্দা। উনিশ শতকের শেষ দিকে মোখলেছুর রহমানের জন্ম। দেখেছেন ব্রিটিশ শাসন ও পাকিস্তান শাসন। এখন দেখছেন বাংলাদেশ আমল। (খবর বিডি প্রতিদিন)
মোখলেছুর রহমানের দাবি, তার বয়স ১২৩ বছর। তার স্ত্রীও শত বছরের মতো বেঁচেছিলেন। তিনি যখন বিয়ে করেছেন তখন তার বয়স ২৬ বছর, স্ত্রীর ছিল ৭ বছর। তাদের দাম্পত্য জীবনে তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। দুই ছেলে মারা গেছেন। অন্য ছেলেও অসচ্ছল। তার দিন কাটছে নানা দুর্ভোগে। লাঠি ভর দিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে পারেন, তবে চোখে কম দেখেন।
মোখলেছুর রহমান বলেন,ভোটার আইডিতে তার বয়স কম উঠেছে। এখন বয়স ১২৩ বছর। গরিব ঘরের ছেলে, লেখাপড়া করতে পারেননি। সারা জীবন কঠোর পরিশ্রম করেছেন। বাংলা ১৩৪৮ সালে ভারতের আসামে গিয়ে কাজ করেছেন। ব্রিটিশ-জাপানের যুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ৩৮/৪০ বছর। তার সমবয়সী ছিল গ্রামের ফজলের রহমান মোল্লা, আবদুল করিম, আবদুল গফুর। তারা ৩০ বছর আগে মারা গেছেন। গ্রামে হাজী বাড়ি আর মোল্লা বাড়ির নামডাক ছিল।
গ্রামের শিক্ষাবিদ হাজী আবদুল জব্বার একশ’র বেশি বয়স পেয়েছিলেন। গ্রামে তার দুটি জানাজা হয়েছিল। গ্রামের সব পরিবর্তন হয়েছে- শুধু মোল্লা বাড়ির পাশের গাবগাছটা আগের মতোই আছে। এটার বয়স ৫০০ বছর হবে। এখন বয়স হয়েছে, কাজ করতে পারি না। কোনো দিন এক বেলা, কোনো দিন দুই বেলা খেয়ে দিন কাটে। বয়স্ক ভাতা পাই, তা দিয়ে জীবন চলে না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি মোখলেছুর রহমান ও তার স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তখন সমাজসেবা অধিদফতর তার স্ত্রী রহিমার নেছাকেও বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিয়েছিল। তার স্ত্রী গত বছর মারা যান। মনপাল গ্রামের বাসিন্দা উত্তরদা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, মোখলেছুর রহমান এই এলাকার সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ। তাদের পরিবার অভাব-অনটনে রয়েছে।
বার্তা কক্ষ,২৮ ডিসেম্বর ২০১৯