দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে বছরে এক হাজার কর্মী বিদেশ পাঠানোর পরিকল্পনা আছে সরকারের। অভিবাসন খাতে তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত নিতে অভিবাসীদের সহায়তা করতে বিদেশযাত্রা একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।
এক অনলাইন অনুষ্ঠানে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বিদেশযাত্রা ‘প্ল্যাটফর্ম ’ উদ্বোধন করেন।
অভিবাসনপ্রত্যাশী, বিদেশে অবস্থানরত অভিবাসী, বিদেশফেরত অভিবাসী ও তাঁদের পরিবারের জন্য নিরাপদ অভিবাসন, রেমিট্যান্স ব্যবস্থাপনাসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্যসেবা দিতে যাত্রা শুরু করেছে ‘বিদেশযাত্রা’। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত প্রত্যাশা প্রকল্পের আওতায় অনলাইন এ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
আইওএম বলছে, ২০১৯ সালে অভিবাসীরা বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৮.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ১ কোটি ৩০ লাখ অভিবাসী শ্রমিক বিদেশে পাঠিয়েছে। প্রতিবছর ৫ লাখের বেশি অভিবাসী শ্রমিক বিদেশ যান। নিয়মিত, বিধিসম্মত এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতের লক্ষ্যে আইওএম বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আইওএম তৈরি করেছে বিদেশযাত্রা। এটি তৈরিতে কারিগরি সহায়তা করেছে বিডিজবস।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত র্যানচা টিয়ারিঙ্ক তাঁর বার্তায় বলেন, যথার্থ তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্তই সঠিক সিদ্ধান্ত। যাঁরা জেনেশুনে বিদেশ যান, তাঁরা অনেক বেশি নিরাপদে থাকেন। এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তথ্যের ঘাটতি কমিয়ে নিরাপদ, বিধিসম্মত এবং নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিতে সহায়তা করবে।
আইওএম বাংলাদেশের মিশনপ্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, করোনা সংকটে দেখা গেছে, যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে হালনাগাদকৃত সঠিক তথ্য অভিবাসীদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশযাত্রার উদ্দেশ্য হচ্ছে অভিবাসী কর্মীরা যেন তাঁদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হোন, তা নিশ্চিত করা।
আইওএম জানায়, অভিবাসন বিষয়ে সিদ্ধান্ত পূর্ববর্তী, গমন পূর্ববর্তী, অভিবাসনকালীন এবং প্রত্যাবর্তনসহ অভিবাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপসংক্রান্ত সব প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলা ভাষায় পাওয়া যাবে বিদেশযাত্রা প্ল্যাটফর্মে। একই তথ্য ওয়েবসাইট ও অ্যাপে পাওয়া যাবে। ৬.১ মেগাবাইটের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা যাবে গুগল প্লে স্টোর থেকে, যা অফলাইনে এবং স্বল্প ডেটা খরচ করে ব্যবহার করা যাবে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ ,২৬ নভেম্বর ২০২০