দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, দেশের কোনো রাস্তায় বাঁশের সাঁকো থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রত্যেক ইউনিয়নে দুটি করে ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। আরও ১৫ হাজার ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়নে গ্রাম ও শহরের উন্নয়নে সমতা আনা হচ্ছে।
শুক্রবার (৯ মার্চ) চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর নিজ বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা তিনি এ কথা বলেন।
মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ও বাগানবাড়ি ইউনিয়নে নির্মিত দুটি করে চারটি ব্রিজ-কালভার্টের উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায় মতলবের উন্নতি হয়েছে। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হবে। রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে শপথ নিতে হবে। দেশে যত দলই ক্ষমতায় এসেছে এরমধ্যে দেশে সবচেয়ে বেশী উন্নয়ন করেছেন আওয়ামীলীগ সরকার। একমাত্র নৌকা প্রতীক আওয়ামীলীগই দেশের উন্নয়ন করে। এছাড়া আর কোন দল ক্ষমতায় আসলে উন্নয়ন হয় না।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো মাত্র ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১৬ হাজার মেগাওয়াট। দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি আছে। এরমধ্যেও সরকার বিদ্যুতের আরো উৎপাদন বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যেই দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে যাবে। এখন পর্যন্ত দেশে প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ ঘরে বিদ্যুৎ পৌছেছে। বাকী ঘরগুলোতে এ বছরের মধ্যেই বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
মতলবের উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, এ বছরের মধ্যেই আমরা মতলব সেতুর কাজ সম্পন্ন করবো। সেতুটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেই সাথে মতলবের সকল রাস্তা-ঘাটেরও উন্নয়ন শেষ পর্যায়ে। ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যেই মতলবের প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হবে। স্কুলে স্কুলে নতুন ভবন, কলেজ উন্নয়ন, মাদ্রাসা উন্নয়নসহ মতলবেও এখন উন্নয়নের জোয়াড় বইছে। কিছুদিনের মধ্যেই আমরা মতলবকে মিনি সিঙ্গাপুর ঘোষনা করতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ, চাঁদপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কে বি এম জাকির হোসেন, মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ গিয়াস আহমেদ প্রমুখ।