দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারকে বারবার দরকার : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে ফিরে আসে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দেশ আজ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতক গোষ্ঠী। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জাতীয় ৪ নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।  শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম হাতিয়ার হল ছাত্রলীগ। শেখ হাসিনা সরকারে আমলে চাঁদপুরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা স্বাধীনতার পর কোন সরকার করতে পারিনি। সামনে জাতীয় নির্বাচন। জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও  নৈরাজ্যের দিনগুলো স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। উন্নয়নের সরকার শেখ হাসিনা সরকার। তাই দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারকে বারবার দরকার।’

১৭ মে বুধবার ওয়ারলেস বিআরডিবি ভিতরে বেলা সাড়ে টায় চাঁদপুর পৌর ১৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যে আছে তরুণ মুজিবের নান্দনিকতা ও আদর্শ, আছে কাজী নজরুলের বাঁধ ভাঙার শৌর্য, আছে ক্ষুদিরামের প্রত্যয়, আছে সুকান্তের অবিচল চেতনা। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি সময়ের দাবিতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সময়ের প্রয়োজন মেটাতেই এগিয়ে চলা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। জন্মের প্রথম লগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের ছয় দশকের সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলার প্রতিটি আন্দোলনের সঙ্গী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। রাজনৈতির পাশাপাশি নিজেদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলতে হবে।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক ইউসুফ গাজী মুন্না। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম, আশেকে রাসূল জাওয়াদ, আরাফাত সানি, কলেজ ছাত্র লীগের সভাপতি সোহেল হোসেন বেপারী।

১৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি কাকন গাজী’র সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল খান এর সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী আশ্রাদ মিয়াজি, সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হুমায়ুন কবির সুমন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার বিষয় সম্পাদক আব্দুল সামাদ টুনু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আলমগীর গাজী, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও যুবলীগ নেতা হান্নান গাজী, পৌর যুবলীগ সদস্য শিপন পাটোয়ারী, ১৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম গাজী প্রমখ।

বর্ধিত সভার শুরুতে ১৩ নং ওযার্ড ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হৃদয়, সাইফুল, ইমন এর নেতৃত্বে পৃথক পৃথক বিছাল মিছিল নিয়ে বর্ধিত সভাস্থলে প্রবেশ করেন।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি,১৭ মে ২০২৩

Share