জুলাই থেকে জুন মাস পর্যন্ত বর্তমানে দেশের অর্থবছর হিসাব করা হয়। তবে এই অর্থবছর পরিবর্তনের চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বুধবার (৫ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বর্তমানে অর্থবছর হিসাব করা হয় জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত। তবে সরকারের সামনে দুটি প্রস্তাবনা রয়েছে। একটি এপ্রিল থেকে মার্চ এবং আরেকটি ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস।
অবশ্য বেশিরভাগ মত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির পক্ষে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা অর্থমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু দাবি-দাওয়া ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি—এ সময়টাকেই আর্থিক লেনদেনের সময়কাল হিসেবে বিবেচনা করে। রাষ্ট্রীয়ভাবে অর্থবছর জুলাই থেকে জুন হলেও ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারিই হলো সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক লেনদেনের মূল সময়। এ জন্য আমাদের প্রস্তাবনা হলো ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি এই সময়টাকে অর্থবছর হিসেবে ঘোষণা করা হোক।’
জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, অর্থবছর পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। যা কিছু করা হোক, চিন্তাভাবনা করেই করা হবে।
এ সময় প্রকৌশলীরা দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য তাঁদের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রীর কাছে। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে ওঠার হার খুব কম। এ নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো পরিকল্পনাও কেউ করছে না। এখন থেকে সমন্বিত উদ্যোগ না নেওয়া হলে এই শতাব্দী শেষে দক্ষ জনশক্তি আর পাওয়া যাবে না। (NTV)
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩: ০০ পিএম, ৫ জুলাই ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ