দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম, এমপি বলেছেন, শীতার্ত মানুষের জন্য দেশব্যাপি ২৭ লাখ কম্বল প্রেরণ করা হয়েছে। বেশীরভাগ কম্বল উত্তরাঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণভান্ডার থেকে ১৮ লাখ কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
শনিবার (০৬ জানুয়ারি) চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে শীতার্থ হতদরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচন ইস্যূতে তিনি বলেন, বিএনপি গত নির্বাচনে নির্বাচনি ট্রেন মিস করে বিএনপি যে চরম ভুল করেছে তার খেসারত এখন দিচ্ছে। তার কারনে আজ নেতাকর্মিদের কাছে যেতে ভয় পায়। শেখ হাসিনার অধিনে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে না এলে বিএনপি মুসলিমলীগের চেয়ে করুণ পরিণতি হবে। সময় ও স্রোতের মতো জাতীয় নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। বিএনপি না এলেও ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সে নির্বাচনেও মহান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিজয়ী হবে।
ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি শীতে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সারাক্ষণ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাওয়ার দিবা স্বপ্নেœ বিভোর রয়েছেন। ক্ষমতার লোভ ছেড়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করে শীতে কাতর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি। এছাড়াও দলমত নির্বিশেষে সকলকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান মায়া চৌধুরী।
তিনি আরো বলেন,বিএনপি-জামায়াত দেশের শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু। এরা পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তারা তো ক্ষমতায় ছিল, তারা কি একটা উদাহরণ দিতে পারবে যে দেশের জন্য ভালো কাজ করেছে?’
মায়া চৌধুরী বলেন, গরীব মানুষ যাতে কোনভাবেই শীতে কষ্ট না পায় তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। কোন এলাকায় এখনো কম্বল বিতরণ শেষ না হলে দ্রæত সকল কম্বল বিতরণের জন্য তিনি সংসদ সদস্যদের প্রতি অনুরোধ করেন। মতলব উত্তর ও দক্ষিন উপজেলায় ১৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে আজ নারীর ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে মহিলা নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে ২৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়।
এদিকে আগামী ১৩ জানরুয়ারী আ’লীগের সমাবেশ সফল করার লক্ষে আয়োজিত উপজেলা আ’লীগের প্রস্তÍÍুতি সভায় ত্রাণ মন্ত্রী মায়া চৌধুরী বলেন, আগামীতে আবারও আওয়ামী লীগের সরকার আসবে নির্বাচনের মাধ্যমে এবং শেখ হাসিনাই ফের হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। মানুষ এবার দেশে যে উন্নয়ন, দেশের যে ডিজিটাল রূপ দেখেছে, তাতে ফের নৌকায় ভোট দেবে জনগণ, নিজেদের উন্নয়নেরই স্বার্থে।
মায়া চৌধুরী বলেন, বিএনপির এখন জনগণের ওপর ভরসা নাই। তাদের ভরসা ষড়যন্ত্রে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে এমন একটা সরকার কায়েম করা, যেন গণতন্ত্র আবার হুমকির মুখে পড়ে,গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নস্যাৎ হয়। তাই আ’রীগ,যুবরীগ,ছাত্রলীগ,মহিলা আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীকে এখ্যবদ্ধ থেকে তা মোকাবেলা করতে হবে।
আওয়ামী লীগের এ প্রভাবশালী মন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও নিয়ে ব্যস্ত ছিল, আর আওয়ামী লীগ তখন সংবিধান রক্ষা করে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। যারা নির্বাচন বানচাল করবে, তাদের প্রচলিত আইনে বিচার করতে হবে।’
এসময় কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, উপজেলা আা’লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস, মতলব দক্ষিন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এএইচ গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বিএইচ কবির, স্বর্নপদক প্রাপ্ত মোহনপুর ইউপি চেয়্রাম্যান শামসুল হক চৌধুরী বাবুল, উপজেলা মহিলা আ’লীগের উপদেষ্টা ও ত্রানমন্ত্রীর সহধর্মিনী মিসেস পারভীন চৌধুরী, মহিলা আ’লীগের উপদেষ্টা সূবর্না চৌধুরী বীণা, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি সিরাজ লস্কর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান মোঃ জহির, সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, আ’লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, কাজী মিজানুর রহমান, হাসান মোর্শেদ আহার চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সরকার ইমনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক-খান মোহাম্মদ কামাল
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৫৫ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০১৮, শনিবার
ডিএইচ