চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের দেবপুর সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি কথিত নেতাদের নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ সুপারের নিষেধাজ্ঞার পরেও তারা প্রতিনিয়ত সিএনজি চালকদের কাছ থেকে ৩০/৪০ টাকা করে আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই অর্থ উত্তোলন করা হচ্ছে চাঁদপুর জেলা সিএনজি মালিক সমিতির নামে । বর্তমানে ১৮৭৮ এর মালিক সমিতির কমিটি নিয়ে পুরো জেলাতেই চরম দ্বন্দ্ব চলছে।
ইতোমধ্যে মালিক সমিতির নামে সড়ক থেকে অর্থ উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
দেবপুর জেলা সিএনজি মালিক সমিতির ব্যানার আবার কখনো দেবপুর সিএনজি মালিক সমিতির নাম দিয়ে চালকদের কাছ থেকে টাকা উঠাচ্ছেন কিছু কথিত আওয়ামী লীগ নামধারী লোক।
জানা যায়, ২নং বাকিলা ইউনিয়নের হাসান ও মালেক বাবুর্চি বিগত কয়েক বছর ধরে দেবপুর সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে টাকা উত্তোলন করছেন।
কিন্তু যারা এ অবৈধ কমিটিতে রয়েছেন অধিকাংশ লোকই বিএনপি জামায়াতের লোক। আওয়ামী লীগের লোকজন ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিএনপি’র ও জামায়াতের লোকদের সাথে নিয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজিতে মেতে রয়েছেন। এমনটি পাওয়া গেলো দেবপুর বাজারের শ্রীপুর ও বাজারগাঁও সিএনজি স্ট্যান্ডের সড়কে।
সোমবার (২০ জুন) দুপুরে দেবপু সিএনজি স্টেশনে গিয়ে কথা হয় টাকা উত্তোলনকারী লাইনম্যানের সাথে। তিনি চাঁদপুর টাইমস প্রতিবেদককে জানান, ‘এখানে আওয়ামী লীগ নেতা হাছান ও স্থানীয় মালেক বাবুর্চির নির্দেশে প্রতি সিএনজি থেকে টাকা উঠাচ্ছি।’
তার তথ্যনুযায়ী হাছানের সাথে কথা না হলেও মালেক বাবুর্চির সাথে লাইনম্যানের মোবাইল দিয়ে কথা হলে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘হাছান সরকার দলের লোক। সে সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করছে।’
টাকার ভাগ বাটোরোয়ার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে মালেক বাবুর্চি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমি সিএনজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। জেলা মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন এ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।’
জেলা কমিটি নিয়ে বিতর্ক চলছে এবং মালিক সমিতির নামে সব ধরনের টাকা উত্তোলন বন্ধ করে দেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার । তারপরও কিভাবে চালকদের কাছ হতে টাকা উঠাচ্ছে, এ বিষয়ে মালেক জানায়, ‘হাছান সরকার দলের লোক বিধায় উঠানো হচ্ছে।’
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, হাজীগঞ্জ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০২:৩০ পিএম, ২২ জুন ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ