শিশু রবিউল আউয়াল (৭) জন্মগত ভাবেই দু’চোখ দৃষ্টি হারানো প্রতিবন্ধী। তার বাবা মো.বিল্লাল হোসেন পেশায় রিক্সা চালক। বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী সুমি আক্তারের দুই অবুঝ সন্তানের মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সন্তান মো.রবিউল আউয়ালকে প্রতিনিয়ত দূচিন্তায় নির্ঘূম রাত কাটাচ্ছেন।
শুধু একদিন অথবা দু’দিন নয়। ছেলের দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাবেন এমন আশায় দৃষ্টিহীন ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘ সাত বছর ধরে কষ্টের বোঝা বইছেন তারা।
জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা, নীরিহ রিক্সা চালক মো.বিল্লাল হোসেনের দুই শিশু সন্তান রয়েছে। তন্মেধ্যে বড় সন্তান রবিউল আউয়াল জন্মের পর পৃথিবীর আলো চোখে দেখেনি।
পরবর্তীতে অবুঝ ছেলের ভালো হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকার পিজি হাসপাতাল ও ইসলামিয়া ইস্পাহানী আই ইন্সটিটিউটসহ দেশের অনেক নামিদামী হাসপাতালে নিয়ে বিষেশজ্ঞ ডাক্তারদের নির্দেশনা অনুসারে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু কোন ডাক্তারই রবিউল আউয়ানের দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা দূর করতে পারেনি।
বিল্লাল হোসেন জানান, আমার সম্পত্তি বলতে কিছু নেই, তবুও ছেলের চিকিৎসার জন্য যে,যে ভাবে পরামর্শ দিয়েছেন তাই করেছি। কিন্তু তার পরেও ছেলের দু’চোখ ভালো হয়নি। এখন আমি আমার ছেলেকে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। বর্তমানে শিশুটি জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালের ডা.নুসরাত শাহরিনের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিষেশজ্ঞ চিকিৎসকগন জানিয়েছেন, দেশে তার চিকিৎসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন। দেশের বাহিরের উন্নত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করালে হয়তো তার এ সমস্যা দূর হতে পারে। কিন্তু দিন মজুর বিল্লাল হোসেনের পক্ষে অর্থাভাবে ছেলেকে দেশের বাহিরে নিয়ে চিকিৎসা করানো চিন্তাই করতে পারছেন না। তবে একটি চোখ হলে তার দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাওয়া যেতে পারে।
এমনিবস্থায় মানবতার কল্যান বিবেচনায় কোন সু-হৃদয়বান ব্যক্তি শিশুটি পৃথিবীর আলোর মুখ দেখাতে একটি বা দুটি চোখ দান করলে, হয়তো সে পৃথিবীর আলো দেখার সাধ মিটতে পারে। কেউ শিশুদের পরিবারেরর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার বাবা বিল্লাল হোসেনের ০১৮৮১-৯৭৯০২৫ নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur