অনেক ‘প্রথম’ সঙ্গী করেই জীবন কাটাতে হয়। নিতে হয় অভিজ্ঞতা। তারকাদের জীবনেও এমন প্রথম অভিজ্ঞতা রয়েছে। নাবিলার এমন প্রথম পাঁচটি অভিজ্ঞতা নিয়েই ‘প্রথম পাঁচ’।
*প্রথম স্কুল
আমি বড় হয়েছি সৌদি আরবে। সেখানে স্কুলজীবন শেষ করে বাংলাদেশে এসে কলেজে ভর্তি হই। কিন্তু মজার বিষয় হলো, আমি স্কুলে ভর্তি হয়েছি অন্য সবার থেকে অনেক দেরিতে। সৌদি আরবেই আমাকে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একবারে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়েছিল। কারণ আমাদের বাড়ি থেকে স্কুল ছিল বেশ দূরে। এতটা পথ পাড়ি দিয়ে রোজ স্কুলে যাতায়াত করাটা কষ্টকর ছিল। তাই মা সব বই-খাতা কিনে বাড়িতেই স্কুলের সিলেবাস অনুসরণ করে আমাকে পড়াতেন। আবার স্কুলে যখন পরীক্ষা হতো, তখন বাড়িতেই মা আমার পরীক্ষা নিতেন। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এভাবেই পার হয়েছে।
* প্রথম পড়া গল্পের বই
আমার মনে আছে, আমি তখন খুব ছোট, তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি। সে সময় বাংলাদেশ থেকে নানু, খালারা আমার জন্য বাংলা গল্পের বই পাঠাতেন। প্রথম কোন বই পড়েছিলাম, সেটা এখন ঠিক মনে করতে পারছি না। খুব সম্ভবত সেটা ছিল ছোটদের আরব্য রজনী নামের একটি বই। সেই বইটি পড়তে আমার খুব মজা লাগত। তখন ঠাকুমার ঝুলিও পড়েছিলাম।
* প্রথম শাড়ি পরা
প্রথম যেদিন শাড়ি পরেছিলাম, তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে আমি দলীয় গান পরিবেশন করেছিলাম। স্বাধীনতা দিবস অথবা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ছিল সেটি। সেদিন মা আমাকে লাল-সবুজ রঙের একটি শাড়ি পরিয়ে দিয়েছিলেন। প্রথম শাড়ি পরার অনুভূতি অসাধারণ। নিজেকে বড় বড় মনে হচ্ছিল, খুব মজা লাগছিল।
* প্রথম ক্যামেরার সামনে
আমি এইচএসসি পাস করে বের হই ২০০৫ সালে। ঠিক তার পরের বছরই একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল থেকে ‘এবং স্কুলের বাইরে’ নামের একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করার ডাক পাই। আমি এ বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানতাম না। কলেজ থেকেই কেউ একজন আমার নাম প্রস্তাব করেছিল। এমনিতে উপস্থাপিকা হওয়ার কোনো পরিকল্পনাই আমার কোনোদিন ছিল না। বলতে গেলে হুট করেই কাজটি করা। আর সেই অনুষ্ঠানেই প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো।
* প্রথমবার আয়নাবাজি দেখার অনুভূতি
আয়নাবাজি আমার প্রথম ছবি। সাধারণ দর্শকদের মতো আমিও এই ছবি মুক্তির দিনই প্রথমবার দেখেছি। প্রথম যেদিন সিনেমাটি দেখি, ভীষণ নার্ভাস ছিলাম। ছবি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত খুব অস্থির লাগছিল। সত্যি কথা বলতে, সিনেমা শুরু হওয়ার পর গল্পের ভেতর এতটাই মশগুল হয়ে যাই যে আমি এতে অভিনয় করেছি, সেই বিষয়টাও তখন মাথায় ছিল না। অবশ্য ছবিতে আমার প্রথম দৃশ্য দেখানোর সময় হলের সবাই তালি দিয়ে ওঠে। সে সময় আমি একটু নড়েচড়ে বসি। তবে একটু একটু লজ্জাও লাগছিল। (অনুুলিখন : নাদিয়া মাহমুদ, প্রথম আলো)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:০০ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ