প্রস্তুতি থাকলে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় : জেলা প্রশাসক

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হানার আশংকায় চাঁদপুর জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির একটি জরুরি সভা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক চাঁদপুর অঞ্জনা খান মজলিশ।

এ সময় অনলাইনে সংযুক্ত সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য সভাপতি দুর্যোগ পূর্ববর্তী ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এখনো আমাদের ততো বেশি সংকেত নেই। তারপরও আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। কারণ, আবহাওয়ার পরিবর্তন যে কোনো সময়ই হতে পারে। আর মনে রাখতে হবে, র্যোগের ৩টা ব্যবস্থার মধ্যে প্রাথমিক ব্যবস্থাটাই হলো দুর্যোগ আসার আগের সফল প্রস্তুতি। এটি ঠিক থাকলে ক্ষয়ক্ষতি থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া যায়। আমাদের তা-ই করতে হবে। চাঁদপুরের নদী তীরবর্তী উপজেলা, চরাঞ্চল,অন্যান্য উপজেলাগুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা কন্ট্রোল রুম করেছি। তার ২টা নাম্বার দেয়া আছে। ’

জেলা প্শাসক বলেন, ক্রিসেন্ট সদস্য, রোভার, অন্যান্য ভলান্টিয়ারকে প্রস্তুত রাখার জন্যে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। দায়িত্বশীল প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ভায় অতিরিক্ত জলা প্রশাসক (সার্বিক) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, প্রেসক্লাব সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা রেডক্রিসেন্ট চেয়ারম্যান ওচমান গনি পাটওয়ারী, জেলা পরিযদ নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, তথ্য, মৎস্য, স্কাউট, সকল এনজিও, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ত্রাণ, ফায়ার সার্ভিসসহ সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, চাঁদপুরে এইদুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্যে জরুরি ভিত্তিতে নগদ ২ কোটি ৫৯ লাখ ৫শ’ টাকা, ১০২ মেট্রিক টন চাল, ১৭২ বান্ডেল টিন, শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্যের ১৮ লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলার ৮টি উপজেলায় ৩২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও প্রতিটি উপজেলায় জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

বার্তা কক্ষ , ২৬ মে, ২০২১

Share