৭ নম্বর বিপদ সংকেতের মধ্যদিয়েই চাঁদপুর সদর উপজেলার হামানকর্দ্দি পল্লী মঙ্গল উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন শনিবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০ টা থেকে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যদিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। মোট ভোটার সংখ্যা ৬৮৭।
ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর কারনে চাঁদপুরে ৭ নং সতর্ক সংকেত থাকার পরেও স্কুল কমিটির অভিভাবক সদস্যদের এ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত।
এই নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম সাইফুল হক।
তিনি চাঁদপুর টাইমস কে জানান ‘এ প্রতিকূল আবহাওয়াতেও হামানকর্দ্দি পল্লী মঙ্গল উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। যা এই বৃষ্টি দিনে একটি সন্তোষজনক উপস্থিতি।’
স্বাভাবিক সময়ে ভোটগ্রহণ হলে ভোটারের উপস্থিতি আরো বেশী হতো বলে তিনি মনে করেন।
ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ করার কারণ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা চাঁদপুর টাইমসকে জানান এ প্রতিষ্ঠান যেহেতু নদী এলাকা থেকে অনেক দূরে তাই আমরা নির্বাচন টি স্থগিতের চিন্তা করিনি। আর নির্বাচন যেহেতু একটি বিধিবদ্ধ বিষয়। তাই এতে হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়না।
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকরেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব রক্ষক মোঃ ইসমাইল হোসেন ও মান্দারি সিনিয়র মাদরাসার বাংলা প্রভাষক মোঃ তারিকুল ইসলাম।
সার্বিক সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল কৃষ্ণ ঘোষ।
বৃষ্টিতে ভিজে আসা এক অভিভাবক (ভোটার) মিজান সরদার চাঁদপুর টাইমসকে জানান ‘আমরা চাই আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে সৎ ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি দের ম্যানেজিং কমিটিতে আসুক, এটাই আমরা চাই। ভালো ফলাফলের ধারা অব্যাহত থাকে তার জন্য শিক্ষাবান্ধব কমিটি নির্বাচিত করতেই আমরা এই প্রাকৃতিকবিপর্যয়েও আমরা ভোট দিতে এসেছি।’
নির্বাচনে ৬ প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী মোঃ মুক্তার হোসাইন আমাদের জানান, আমি এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অভিভাবকের দোরগোড়ায় পৌছানোর চেষ্টা করেছি। সে ভালোবাসা থেকেই আজ দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে বৃষ্টিতে ভিজে ভোট দিতে এসেছে।
এ-নির্বাচনে পুরুষ অভিভাবক সদস্যের ৪টি পদের জন্য লড়ছেন ৯ জন প্রার্থী।
প্রার্থীরা হলেন;-
১। মোঃ আঃ রহমান,
২। মোঃ আবুল কাশেম,
৩। মোঃ ফারুক গাজী,
৪। মোঃ বকতিয়ার মিজি,
৫। মোঃ মাহবুব খান,
৬। মোঃ মুক্তার হোসাইন,
৭। মোঃ মোস্তফা গাজী,
৮। লিটন গাজী,
৯। মোঃ সালেহ আহমেদ।
এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের ১টি পদের জন্য লড়েছেন ২ জন প্রার্থী।
প্রার্থীরা হলেন ;-
১। খালেদা বেগম, ও
২। ঝর্ণা বেগম।
সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে প্রথম হয় মোঃ মুক্তার হোসাইন (প্রাপ্ত ভোট ২৫২), দ্বিতীয় হয় মোঃ মোস্তফা গাজী (প্রাপ্ত ভোট ১৭৩)
তৃতীয় হয় মোঃ ফারুক গাজী (প্রাপ্ত ভোট ১৬৭), চতুর্থ হয় মোঃ লিটন খান (প্রাপ্ত ভোট ১৪৮), এবং সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন খালেদা বেগম (প্রাপ্ত ভোট ২৬৯)