আন্তর্জাতিক

দুর্নীতির দায়ে মেয়রকে যে অদ্ভুত সাজা দিলো!

আইন সকলের জন্য সমান। কিন্তু যারা আইন প্রণয়ন করেন সেই আইন প্রণেতা, জনপ্রতিনিধিরা একথা প্রায়ই ভুলে যান। তবে বলিভিয়ার সান বউনাভেনতুরা মফস্বল শহরে সেটা প্রায় অসম্ভব।

এই শহরের জনগণ প্রায়ই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ধরে অদ্ভুত রকমের শাস্তি দেন। এ কাজ তারা করেন এই কারণে যাতে তারা আইনের রক্ষক হয়ে ভক্ষকে পরিণত না হন। সম্প্রতি শহরের স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্নীতির অভিযোগে তাদের মেয়রের এক পা কাঠের তক্তার মধ্যে আটকে রেখেছিলেন।

স্থানীয় পৌরসভা ও সরকারী বরাদ্দের অর্থ দিয়ে একটি সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মেয়র জাভিয়ার দেলগাদো। কিন্তু তিনি যখন সেখানে পৌঁছান তখন বুঝতে পারেন, সেতুর উদ্বোধন দেখতে নয়, বরং লোকজন অন্য একটি কারণে তার জন্য অপেক্ষা করছে। কোনো কিছু ভালো করে বুঝে ওঠার আগেই উপস্থিত জনতা মেয়রের পা তক্তার সঙ্গে বেঁধে ফেলেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে লা রাজন পত্রিকাতে বলা হয়েছে, ‘আমা কুহইলা, আমা লুলা, আমা সুওয়া’অর্থাৎ ‘অলসতা করবে না, মিথ্যা বলবে না, চুরি করবে না’ নামে প্রচলিত সামাজিক বিচারের রীতিতে মেয়রকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি একটি সেতু তৈরির টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর আগে দুবার মেয়রকে এ ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।

তবে লা রাজনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেয়র বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি ব্যাখ্যা করার আগেই তার সঙ্গে এমনটা করেছে। তিনি মনে করছেন, বিরোধী পক্ষ তাকে হেয় করার জন্য তার নামে দুর্নীতির কেচ্ছা রটিয়েছে। এতে তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছে সাধারণ মানুষ। যদিও তার কথাগুলো বুঝিয়ে বলার পর তার কাছে সবাই ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানান মেয়র।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪: ৫০ পি.এম ৯মার্চ,২০১৮ শুক্রবার
এএস.

Share