বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চাঁদপুর জেলা শাখার ২য় সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ মার্চ শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাব কমিউনিটি সেন্টারে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রাম, সংগঠন গতিশীল করার লক্ষ্যে নানা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্ল্যা সেলিমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শফি উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা আঃ হামিদ মাষ্টার, মোশাররফ হোসেন, রাশেদা বেগম হীরা, ডাঃ মাঈনুল ইসলাম মানিক, দুলাল মিয়া পাটওয়ারী, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল, ডাঃ শামিম আহমেদ, আঃ শুক্কুর পাটওয়ারী, খলিলুর রহমান গাজী, শরীফ মোঃ ইউনুছ, দেওয়ান শফিকুজ্জামান, ফেরদৌস আলম বাবু, আমিন উল্ল্যাহ বেপারী, ডি এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মুনীর চৌধুরী, অ্যাড. শামছুল ইসলাম মন্টু, যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন মাঝি, অ্যাড. হারুনুর রশিদ, শাহজালাল মিশন, অ্যাড. মনিরা চৌধুরী,তানভীর হুদা, অ্যাড. বাবর বেপারী, মাজহারুল ইসলাম শফিক, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল কাদের বেপারী, দপ্তর সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাদল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খোকন, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মানিকুর রহমান মানিক, ফয়সাল গাজী বাহার, সদস্য মোস্তাক আহমেদ, আলী আহম্মদ সরকার, মিজানুর রহমান, মঞ্জুরুল আলম সেলিম, ভিপি খলিলুর রহমান, হাবিবুর উল্ল্যাহ হাবিব ভেন্ডার, সদস্য মোঃ আলমগীর সরকার।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই উপমহাদেশে সবচেয়ে বৃহৎ ও সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। বিএনপি ক্ষমতায় আসার জন্য নয়, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ক্ষমতায় আসবে। আমরা এমন একটা পর্যায়ে আছি মামলাও সরকারের রায়ও সরকারের হাতে। তাহলে আমাদের ভাগ্যে কি আছে কিভাবে পরিত্রাণ পেতে পারি। এজন্য সবাইকে এক সাথে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
সভায় সাংগঠনিক রিপোর্ট পাঠ করেন চাঁদপুর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মুনীর চৌধুরী।
সভায় বক্তারা বলেন, চাঁদপুর জেলা বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রান। দলের অগ্রগতির জন্য ঐক্যের প্রয়োজন। নিজেদের মধ্যে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। নেতা-কর্মীরা আজ নির্যাতিত ও নিপীড়িত। ধরপাকড় থাবেই তবুও আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। মেয়াদ উত্তিণ কমিটি, দীর্ঘ বছরের কমিটিগুলো ভেঙ্গে নতুন কমিটি করতে হবে। যোগ্য ও ত্যাগী নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে। নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে হবে। বিএনপির জন্য বড় সুযোগ আর সাফল্য হাত ছানি দিচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকার নিজেদের অন্তঃকোন্দলে আজ নড়বড়ে। বিএনপির বড় সফলতা হলো ড্যামি নির্বাচন জনগন বর্জন করেছে। ঈদের পর কর্মসূচি আসতে পারে সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। তারন্যের অহংকার তারেক রহমানের নির্দেশে জুলুমবাজ সরকারকে সড়িয়ে একটি সুসংগঠিত সরকার গঠন করা হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সাধারণ সভা শেষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, ২৯ মার্চ ২০২৪