দুপক্ষের চাপাচাপিতে জনসাধারণের চলাচলের পথে বাঁধা

ফরিদগঞ্জে দু’পক্ষের চাপাচাপিতে জনসাধারণের চলাচলের পথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী। তবে চলাচলের পথ এক পক্ষের দিকে চাপিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মব সৃষ্টি অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানতে পেরে সরেজমিনে গিয়ে উভয় পক্ষকে বসার আহবান জানান।

জানাযায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩ নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের চালিয়াপাড়া গ্রামের সর্দার বাড়ীর পশ্চিম দক্ষিণ কর্ণারে সিরকালিয়া মৌজায় মূলত বিরোধীয় বিষয়টি। গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আবু তাহের, মোরশেদ আলম, বোরহান উদ্দিন ও মাহবুব আলম গত বছরে মানুরী গ্রামের হাবু মিয়ার মেয়ের জামাই মহিনের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন। এর পর চারদিক বাউন্ডারি পিলার দিয়ে সীমানা নির্ধারন করে ভোগ দখল করে আসছে।

বিষয়টি নিয়ে গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের মানুরী গ্রাম থেকে আসা প্রতিপক্ষ শফিকুর রহমান খোকা চালিয়াপাড়া গ্রামে জায়গায় ক্রয় করে বাড়ী করেন। বিরোধী জায়গায়র পাশে তার ছেলে নাছিরের নামে ১৬ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে। কিন্তু খোকা গং ১৬ শতাংশ জায়গা ক্রয় করলেও জোরপূর্বক ১৯ শতাংশ দখল করে রাখে। আর এতে গ্রামের গোয়াট হিসাবে চলাচলের পথ না রেখে প্রতিপক্ষ আবু তাহের গংদের ক্রয়কৃত জায়গা পথ দাবি করে মোম সৃষ্টি করার পায়তারা করে আসছে ভূমিদস্যু খোকা মিয়া গং।

তাছাড়া খোকা মিয়া গং ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দাবি করে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আবু তাহের গংদের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যু বানিয়ে মব সৃষ্টি করার পায়তারা করে আসছে। মূলত খোকা গং অন্য গ্রাম থেকে এখানে এসে একের পর এক জায়গায় কিনে ভূমিদস্যুতার পরিচয় দিয়ে আসছে বলে লোকমুখে প্রচলিত আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবু তাহের গংদের সম্পত্তির চার পাশে বাউন্ডারি বেড়া রয়েছে। এমনকি মানুষের চলাচলের জন্য দুই হাত পথ ছেড়ে বেড়া দেয়। প্রতিপক্ষ শফিকুর রহমান খোকা ও তার ছেলে নাছির চলাচলের পথে এক হাত জায়গাও না ছেড়ে দেওয়ায় চলাচলের পথ শুরু হয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী চলাচলের পথ উভয় পক্ষ থেকে দুই হাত করে চার হাত ছেড়ে দিলে গ্রামের মানুষ ধানের হোজা মাথায় নিয়ে আসতে সুবিধা হতো। খোকা গং জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল করে রেখে আবু তাহের গংদের দিকে আরো চাপিয়ে দেওয়া উপক্রমের চেষ্টা চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় রমজান আলী মিজি বলেন, জায়গা কিনার সময় আবু তাহের গংদের সীমানা দিয়ে জায়গা দখল বুঝিয়ে দেন বিক্রেতা হাবু ও তার মেয়ের জামাই মহিন। আমরা গ্রামবাসী তখন বলেছি উভয় পক্ষ যেন দুই হাত করে চার হাত জায়গা ছেড়ে দেয়। আবু তাহের গং দুই হাত জায়গা ছেড়ে দিলেও খোকা মিয়া গং ছাড়েনি। যে কারনে সামনে ধানের সময় মাথা করে হোজা আনতে সমস্যা পড়তে হবে।

জায়গার মূল মালিক হাবু মিয়া বলেন, আমি আবু তাহের গংগদের কাছে ১০ শতাংশ জায়গা বিক্রি করার সময় বলেছি দুই হাত জায়গা চলাচলের জন্য ছেড়ে দিতে। তারা সে অনুযায়ী ছেড়ে দিলেও প্রতিপক্ষ খোকা গংরা ছাড়েনি।

আবু তাহের কাজী বলেন, আমরা জায়গা ১০ শতাংশ ক্রয় করে সাথে সাথে দখলের সময় দুই হাত চলাচলের পথ রেখেছি। প্রতিপক্ষ খোকা গং এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়েনি। তারা ১৬ শতাংশ কিনে ১৯ শতাংশ জায়গা ভোগদখলে আছে। এখন মব সৃষ্টি করে আমাদের কাছ থেকে আরো জায়গা নেওয়ার অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের কথা বলেছে। আমরা জায়গা ছেড়েছি এবং বসতেও রাজি আছি অথচ খোকা গং পথের জায়গা ছাড়বে না এবং বসতেও রাজি না। আমি প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ শফিকুর রহমান খোকা বলেন, আমরা আগে থেকে সীমানা পর্যন্ত আছি বরং আবু তাহের গং চলাচলের পথ যেটুকু রেখেছে তা আরেকটু ছাড়লে আর সমস্যা হবে না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, আমি গত কিছুদিন আগে সরেজমিনে গিয়ে উভয় পক্ষকে বসার জন্য আহবান করেছি। আবু তাহের গং বসতে রাজি থাকলেও প্রতিপক্ষ খোকা মিয়া গং এখনো বসার জন্য কিছু বলেনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক/
২ নভেম্বর ২০২৫