দুটি মাছ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা

বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে দুটি সামুদ্রিক জাবা ভোল বা সোনা ভোলের মাছ। মাছ দুটি ধরা পড়ে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফারুক নামে এক জেলের জালে। ৬৩ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছ দুটি বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১৮ লাখ টাকা।

২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় মোংলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ‘মেসার্স জয়মনি ফিস’ আড়ত মাছ দুটি কিনে নিয়ে যায়। মাছ দুটি শনিবার সকালে সুন্দরবনের দুবলার চরের ডাকে (উন্মুক্ত নিলামে) সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। এ সময় মাছ দুটি দেখতে লোকজন ভিড় জমায়।

মাছ দুটির মধ্যে বড় মাছটির ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম, আর অপেক্ষাকৃত ছোটটির ওজন ২৭ কেজি।

বড়টি বিক্রি হয়েছে ১১ লাখ এবং ছোট বিক্রি হয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। প্রতি কেজি মাছের মূল্য পড়েছে ২৯ হাজার ১৩৩ টাকা।

জেলে ফারুক হোসেন বলেন, ‘মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে, বড় মাছ না পাওয়ায় মনটা খারাপ ছিল। এই মাছ দুটো পাওয়ায় অনেক লাভ হয়েছে। বিক্রিও করেছি আশানুরূপ দামে।’

মেসার্স জয়মনি ফিস-এর মালিক আল আমিন বলেন, ‘মাছগুলো আমরা চট্টগ্রাম চালান করবো। এসব মাছ অনেক ঝুঁকি নিয়ে কিনে থাকি। আশা করি বেশ লাভ হবে।’

মোংলার মৎস্য সমবায় সমিতি সভাপতি আফজাল ফরাজী বলেন, ‘ভোল মাছ সুন্দরবনের নদ-নদীতে আগে দুই-একটি মাছ পাওয়া যেত। মূলত এ মাছের ফুলকী-প্যাটা ও বালিশের কারণে দাম বেশি। বিদেশে রপ্তানি করা মাছের প্যাটা ও বালিশ দিয়ে মেডিসিন তৈরি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে বিরল প্রজাতির দাতিনা ভোল মাছ মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসেনি।

ভোল মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস’। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ভোল মাছের চাহিদা খুব বেশি।

টাইমস ডেস্ক, এএস, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Share