রাজধানীর মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারীরা প্রথম ও পঞ্চম শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির ক্যান্টিন বয়রা ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এই ঘটনার জন্য অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা চেয়ে দ্রুত-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
গত ৪ মে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের ১ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে প্রতিষ্ঠানটির এক ক্যান্টিন বয়-এমন অভিযোগ অভিভাবকদের। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে মেয়েটিকে উদ্ধার করে অন্যান্য সহপাঠীরা। এই ঘটনার একদিন পরেই ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে স্কুলের নিম্ন শ্রেণীর কয়েকজন কর্মচারী। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং নির্যাতিতদের স্কুল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার দুপুরে অভিভাবকরা এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষের কাছে যায়। এসময় অভিভাবকদের সঙ্গে অধ্যক্ষের বাক বিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে স্কুলের অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন এই ঘটনার জন্য অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চান। সেই সঙ্গে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার জন্য দুঃখিত। আমি নিশ্চিত করে বলছি দোষী তার উপযুক্ত শাস্তি পাবে।’
এরপর অভিভাবকরা আগামী শনিবারের মধ্যে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সময়সীমা বেধে দেয়।
অভিভাবকদের প্রতিনিধি রেজাউল হক শিশির বলেন, ‘শনিবারের মাঝে যদি তারা কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা এই প্রাঙ্গণে অবস্থান শুরু করবো এবং তখন আমরা দায়িত্বরতদের পদত্যাগের দাবি জানাবো।’
এসময় যৌন নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান অভিভাবকরা।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫