দু’ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা : হ্যাপীর মরদেহ ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ

ধর্ষণের পর হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মাদারীপুরের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হ্যাপী আক্তারের মরদেহ উত্তোলন করে ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এক আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আদিতি রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মোস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হ্যাপি ও সুমাইয়া গত ১৩ আগস্ট স্কুলে যায়। ওই দিন বিকেলে অচেতন অবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাদের নিয়ে আসেন কয়েকজন যুবক।

প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালে ওই দিন বিকেলেই মারা যান হ্যাপী। পরে ওই যুবকরা পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে সুমাইয়াও মৃত্যু বরণ করেন।

এ ঘটনায় নিহত সুমাইয়ার বাবা গত ১৫ আগস্ট হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর হ্যাপীর মা একমাস পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এ বিষেয়ে ব্যারিস্টার এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন জানান, ‘এ ঘটনায় করা ময়নাতদন্তে ধর্ষণের বিষয়ে কোনো তথ্যই উল্লেখ করা হয়নি। শেষ সময়ে যে দুই মহিলা হ্যাপীর সুরতহাল প্রস্তুত করেছেন, তারাই হ্যাপীর পরিবারকে জানিয়েছেন যে হ্যাপীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা করা হয়। আদালত আমাদের সকল কথা আমলে নিয়ে হ্যাপীর মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’

‘যেহেতু আমি হ্যাপীর আইনজীবী, সেহেতু আমি সুমাইয়ার বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’ জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বিচারিক আদালত গত ১৮ অক্টোবর ধর্ষণের মামলা তদন্ত না করে সুমাইয়ার বাবার হত্যা মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পর গত ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন হ্যাপীর মা মুক্তা বেগম।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৭:১১ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫, রোববার

এমআরআর  

Share